শান্তিনিকেতন, ১০ ডিসেম্বর (হি. স.) : বিশ্বভারতী তে নিযুক্ত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হল অধ্যাপক সংগঠন। ছাত্র আন্দোলনের উপর বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের হামলার ফুটেজ পাঠিয়ে রক্ষী দের লাইসেন্স বাতিল আবেদন করে রাজ্যের মুখ্য সচিব কে চিঠি দিল অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা ।
উপাচার্যের নিরাপত্তা রক্ষীদের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করে চিঠি দিল নবান্নে চিঠি বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠন।
শনিবার ইমেইল মারফত বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য নবান্নে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিবকে চিঠি লেখেন। চিঠির সঙ্গে বিশ্বভারতী তে কর্মরত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের অমানবিক আক্রমণের ফুটেজও অধ্যাপক সংগঠনের পক্ষ থেকে নবান্ন তে রাজ্য সরকার কে পাঠানো হয়। সংগঠনের অভিযোগ, উপাচার্যের পেটুয়া বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা নির্মম ভাবে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের উপর হামলা চালায়। যাতে একাধিক ছাত্র গত ১৬ দিনে দফায় দফায় আহত হয়। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অপব্যবহার করছেন। বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা নিজস্ব এক্তিয়ার ছাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রী সহ অন্যান্য কর্মীদের উপর অমানবিক আক্রমণ চালায়। ঐ বেসরকারি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হোক।
ভিবিউফার দাবি, অনেক ক্ষেত্রে তারা উপাচার্যর নির্দেশে কর্মী অধ্যাপকদের উপর গোয়েন্দাগিরি করছেন। তারা অধ্যাপকদের ব্যক্তিগত জীবনে নজরদারি করছেন। এমনকি তাদের বাসভবনে গিয়ে অনধিকার প্রবেশ করছেন।
অধ্যাপক সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়েছে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের দাবি উপাচার্যের নির্দেশে এই প্রাইভেট সিকিউরিটি ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা ও করেছে। এই প্রসঙ্গে ছাত্র নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, “এই প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সির লোকজন কে দিয়ে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করান উপাচার্য। এরাই আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও করেছে। আমাদের শান্তি পূর্ন আন্দোলন ভাঙতে এরা আক্রমন করেছে। তাতে ছাত্ররা আক্রান্ত হন।”
এই নিয়ে অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা অভিযোগ, বিশ্বভারতীর সিকিউরিটি এজেন্সিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ছাত্র-কর্মী-অধ্যাপকদের জীবন ও বিশ্বভারতীর সম্পদ রক্ষা করার জন্য।উল্টে তারা উপাচার্যের নির্দেশে হামলা করছে। এই নিয়ে ভিবিউফা সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন,”বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা উপাচার্যের ভাড়াটে গুন্ডায় পরিণত হয়ে এরা ছাত্রছাত্রী পেটাচ্ছে, অধ্যাপকদের বাড়ি চড়াও হয়ে হুমকি দিচ্ছে এবং বহিরাগতদের সঙ্গে শাবল, গাঁইতি ,হাতুড়ি ও মারণাস্ত্র সহ মধ্যরাতে বিশ্বভারতীর সম্পদ নষ্ট করে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীর উপর চড়াও হয়েছে। এমনকি কর্তব্যরত সাংবাদিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই থানায় অভিযোগ হয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারকে বর্তমান এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের দাবী জানিয়েছি।”