নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর৷৷ সিধাই থানার গুলি গায়েব কাণ্ডে জেলার পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথ ও থানার ওসি জয়ন্ত মালাকারের মিলিঝুলি কারসাজিতে পিঠ বাঁচিয়ে ঘুরছে মূল অভিযুক্ত৷ ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ গায়েব হওয়ার প্রসঙ্গে অবশেষে মোহনপুরে এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ জানান সিধাই থানায় সমস্ত গুলি সংখ্যায় সঠিক রয়েছে৷ যে তথ্য সম্প্রচার হচ্ছে সেটি সঠিক নয় বলেও স্পষ্টিকরণ দিলেন এসডিপিও৷ কিন্তু এই স্পষ্টিকরনের পরে অনেক প্রশ্ণ রয়ে গেছে যে প্রশ্ণগুলোর উত্তর খোদ এসডিপিও সাহেবের কাছেও মিলছে না৷ সিধাই থানাতে রিভলবারের ২৫ রাউন্ড গুলি উধাও কান্ড শুরু হয়েছিল বর্তমান এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগেই৷ তৎকালীন সিধাই থানার সাব ইন্সপেক্টর বাপ্পা মিত্র স্থানান্তর হওয়ার সময় উনার আর্মস এমুনেশন জিডি অফিসের কাছে হস্তান্তর করেন৷ জিডি অফিসার তৎকালীন সেকেন্ড অফিসার অরুণ দেববর্মার কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন৷ এরপর থেকেই ২৫ রাউন্ড গুলি উধাও হওয়ার ঘটনা শুরু হয়েছে৷ সেই সময় বর্তমান এসডিপিও মোহনপুরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি৷ যদিও থানার ওসি জয়ন্ত মালাকার এবং অন্যান্যরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন৷ গত ৩ তারিখ এই বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে জেলার পুলিশ সুপার শঙ্কর দেবনাথের টেবিল পর্যন্ত গড়ায়৷ কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সন্দেহ জনক ছিল৷ আর এই সন্দেহ থেকে উঠছে একাধিক প্রশ্ণ৷ গত তিন তারিখ গুলি গায়েব হওয়ার ঘটনা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আসতেই সিধাই থানার ওসি দুপুর থেকে রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত কোন দেহরক্ষী ছাড়া থানার বাইরে কোথায় ছিলেন? গভীর রাতে ওসি থানায় ফেরার প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যেই এসডিপি সব্যসাচী দেবনাথ কি কারনে আর্মস এমনেশন ইন্সপেকশনে আসেন? তাহলে ওসি ফিরে এসে গায়েব গুলির স্থানে ধার করা গুলি রাখার অপেক্ষায় ছিলেন এসডিপিউ? যেহেতু গুলি গায়েব হবার মত স্পর্শকাতর বিষয় দুপুরে আধিকারিকদের সামনে আসে এই বিষয়ে ইন্সপেকশন করতে রাত রাত ১২ টা বাজলো কেন? এখানেই শেষ নয় সিধাই থানার অস্ত্রগুলি নিয়ে খামখেয়ালির ঘটনা৷ থানার কষ্টেবল জনার্ধন কলই বেশ কয়েকদিন আগে চিকিৎসা জনিত কারণে ছুটিতে গিয়েছেন৷ নিয়ম অনুযায়ী কোন পুলিশ কর্মী ছুটিতে যাওয়ার আগে তার জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র এবং গুলি সমস্ত কিছু জমা করে যেতে হয়৷ কিন্তু সিধাই থানার কড়িৎ কর্মা ওসি সমেত অন্যান্য আধিকারিকরা তারা কাছ থেকে তার জন্য বরাদ্দকৃত গুলি জমা না রেখেই তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়৷ পরবর্তী সময়ে কোন উপায় না দেখে যে বাক্সের ভেতর ওই পুলিশ কনস্টেবলের সমস্ত সামগ্রী এবং গুলি ছিল সে বাক্স তুলে এনে অস্ত্রের গুদামে পুরে দেয় কর্তৃপক্ষ৷ এই ঘটনাটি আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সিধাই থানা কর্তৃপক্ষ অস্ত্র গুলির নিরাপত্তা সম্পর্কে একেবারেই দায়িত্ব জ্ঞানহীন৷