নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর (হি. স.): সোমবার দেশজুড়ে চলবে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটদান প্রক্রিয়া চলবে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। সভাপতির জন্য মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর বনাম রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের।কিন্তু নির্বাচনের পদ্ধতিতে খুশি নন শশী থারুর। নির্বাচনের একরাত আগে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রার্থী শশী থারুর।
নির্বাচনের ঠিক আগেই শশী থারুর কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথারিটির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কোন ভোটিং প্রক্রিয়ায় দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। শনিবার সিইএ-র তরফে গোটা প্রক্রিয়াটি দুই প্রার্থী ও বাকি সদস্যদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, ভোটদাতারা ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে ১ লিখবেন। নির্বাচন শেষে সমস্ত ব্য়ালট পেপারের গণনা করে জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের এই পদ্ধতিতে খুশি নন শশী থারুর। তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতিতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। থারুরের প্রতিপক্ষ মল্লিকার্জুন খাড়্গের সিরিয়াল নম্বর ১। এতে পরোক্ষে ভোটারদের বলা হচ্ছে যে তারা যেন খাড়গেকেই সভাপতি হিসাবে বেছে নেন। তবে সূত্রের খবর, শশী থারুর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই সেন্ট্রাল ইলেকশন অথারিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং পরে থারুরকে বোঝান যে ভোটাররা ১ বা ২ লেখার বদলে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে টিক দেবেন।
দলীয় নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত দুইয়ের বেশি যদি প্রার্থী থাকে নির্বাচনে, তাহলে ভোটাররা প্রার্থীদের নামের পাশে নিজেদের পছন্দ অনুসারে ক্রম অনুযায়ী অর্থাৎ ১, ২ লিখে ভোট দেবেন। তবে এবারের কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মাত্র দুইজন প্রার্থী হওয়ায় ভোটের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন থারুর। তারপরই নির্বাচন কমিশনের তরফে সংখ্যার বদলে নামের পাশে টিক মার্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। সোমবার দিল্লিতে এআইসিসি দফতরেই ভোট দেবেন সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর কন্যা প্রিয়ঙ্কা। ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে কর্ণাটক থেকেই ভোট দেবেন রাহুল গান্ধী। ভারত যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ৪০ জন কংগ্রেস কর্মীও কর্ণাটকেই ভোট দেবেন। তাছাড়া প্রত্যেকটি রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা ভোট দেবেন নিজের রাজ্য থেকেই। আগামী ১৯ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে।