আগরতলা, ২ অক্টোবর : যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আজ সকালে আগরতলার সার্কিট হাউস সংলগ্ন মূর্তি প্রাঙ্গণে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, সচিব টি কে চাকমা, সদর মহকুমা শাসক অরূপ দত্ত, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহঅধিকর্তা অমৃত দেববর্মা প্রমুখ। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জানান, গান্ধীজী ছিলেন একজন আদর্শ ব্যক্তি ও সকলের জন্য পথ নির্দেশক। তিনি বলেন, গান্ধীজীর নীতিকে অনুসরণ করে রাজ্য সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াসে কাজ করছে। গান্ধীজীর পথকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আজ সকালে গান্ধীঘাটের গান্ধীবেদীতে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সর্বপ্রথমে গান্ধীবেদী প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর মহাত্মা গান্ধীর শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র-ইন-কাউন্সিল তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, সচিব তুষার কান্তি চাকমা, সদর মহকুমা শাসক অরূপ দেব সহ বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে গীতা, বাইবেল, কোরান ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
গান্ধীঘাটে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, মহাত্মা গান্ধী এক নতুন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। যেখানে থাকবে না ধনী, দরিদ্র, উঁচু, নীচুর ভেদাভেদ।