BRAKING NEWS

Manik Saha:মৎস্য চাষের উন্নতিতে ফিসারি কলেজের বড় অবদান রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ অক্টোবর : ত্রিপুরার একমাত্র ফিসারি কলেজ দেশের অন্যান্য রাজ্যের ফিসারি কলেজ থেকে কোন অংশে কম নয়। সারা দেশে এই কলেজ সমাদ্রিত। ত্রিপুরার ফিসারি কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেক রাজ্যের বিভিন্ন সংস্কৃতির ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে। যা একাধারে পঠন-পাঠনের সঙ্গে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা বহন করে। আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা পশ্চিম জেলার অন্তর্গত লেম্বুছড়াস্থিত রাজ্যের একমাত্র ফিসারি কলেজের রৌপ্য জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন। অনুষ্ঠানের প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা কলেজ চত্বরে স্টেট ফ্লাওয়ার নাগেস্বর গাছের চারা রোপন করেন। এরপর তিনি কলেজের মিউজিয়াম, গ্যালারী ইত্যাদি পরিদর্শন করেন এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসাহার হাত ধরে মৎস্য সুবিধাভোগী চাষীদের মধ্যে মাছের পোনা এবং মাছের খাদ্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাছ অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য। মূলত বাঙ্গালীরাই মাছের প্রতি আসক্ত। প্রায় ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ বাঙ্গালীর কাছে মাছ খুবই প্রিয়। রাজ্যও মাছ উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদনে তথা মৎস্য চাষের উন্নতিতে এই কলেজের বড় অবদান রয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে এই কলেজ তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী কলেজের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচিগুলিকে জনসাধারণের সম্মুখে প্রচারের আলোয় নিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে একশত শতাংশ সাফল্য পাবার উদ্দেশ্যে রাজব্যাপী প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান চালু করেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে রাজ্যের অনেকগুলি ক্ষেত্রের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সেক্ষেত্রে দেশের অনেক রাজ্য থেকেই ত্রিপুরার সাফল্য অনেক বেশি ছিল। তিনি বলেন, এই কলেজে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডিগ্রী কোর্স থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষারও অনেক সুযোগ রয়েছে। এই কলেজের গড়িমা অনেক, যা রক্ষার দায়িত্ব সবার। পাশাপাশি এই কলেজের মানকে আরও বাড়াতে সবাইকে লক্ষ্যস্থির করে মিশন মুডে কাজ করতে হবে। তবেই প্রকৃত সাফল্য আসবে। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কলেজের দুই কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে চেক এবং শংসাপত্র তুলে দেন। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী কলেজের ২৫ বছর পূর্তির লোগো, ক্যালেন্ডার, ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইম্ফল) উপাচার্য ড. অনুপম মিশ্রা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল (আই সি এ আর) ড. জে কে জেনা এবং ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ত্রিপুরার ফিসারি কলেজের ডিন প্রফেসর রতন কুমার সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *