সমরখন্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ইয়ারফোন নিয়ে বিপাকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রাক মুহূর্তে ইয়ারফোন নিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা হল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। আর চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে হাসি চাপতে পারেননি পুতিনও। মুচকি হাসতে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। ঘটনার সেই ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। এমনই ঘটনায় শাহবাজের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁর বিরোধীরা।
সামনের চেয়ারে বসে রুশ প্রেসিডেন্ট। শুরু হবে আলোচনা। সব প্রস্তুতি সারা। ইয়ারফোন গুঁজতে যেতেই বিপত্তি! কিছুতেই তা আর কানে লাগাতে পারলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে চাইতে হল সাহায্য। শেষে একজন দৌড়ে এসে ইয়ারফোন পরিয়ে দিলে কাটল অস্বস্তি ।শুক্রবার থেকে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হচ্ছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের বৈঠক। এখানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই সমরখন্দ পৌঁছে যান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এসসিও-র বৈঠক শুরু আগেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তাঁরা। আর সেই আলোচনা শুরু প্রাক মুহূর্তে ইয়ারফোন নিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ইয়ারফোন পরতে না পেরে শেষে সাহায্য চান শরিফ। তখন সেখানে একজন এসে ইয়ারফোন পরিয়ে দেন তাঁকে। পাক প্রধানমন্ত্রীর এই বিড়ম্বনা দেখে হালকা হেসে ওঠেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।মুচকি হাসতে দেখা গিয়েছে তাঁকেও। ঘটনার সেই ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।এমনই ঘটনায় শাহবাজের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁর বিরোধীরা। টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পার্লামেন্ট সদস্য শিরিন মাজারি।
যদিও ইয়ারফোনের সমস্যা কাটিয়ে পরে অবশ্য পুতিনের সঙ্গে বৈঠক নির্বিঘ্নেই সারেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ। সূত্রের খবর, পাকিস্তানকে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে রাজি হয়েছেন পুতিন। এর জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ভবিষ্যতে রাশিয়া থেকে কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান হয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাকিস্তানে আসতে পারে গ্যাস। সেক্ষেত্রে আফগান সমস্যা সমাধান করতে হবে বলেও জানিয়েছেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই উজবেকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বৈঠকে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। রুশ তেলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে চাইছে জি-৭-ভুক্ত দেশগুলি। সেক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা কী হবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। সমরখন্দে ইরান এবং চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি।-