মস্কো, ১০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ইউক্রেন ইস্যুতে ব্রিটেনের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বকে এক পাশে সরিয়ে রেখে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রানির মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে লেখা এক খোলা চিঠিতে তার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পুতিন লেখেন, ‘তার প্রজাদের ভালোবাসা এবং সম্মানের পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্ব যথাযথভাবে উপভোগ করেছেন তিনি।’
রানির বড় ছেলে ও উত্তরাধিকারীকে সরাসরি সম্বোধন করে পুতিন আরও লেখেন, ‘আমি এই কঠিন ও অপূরণীয় ক্ষতির মুখে আপনার সাহস ও ধৈর্য কামনা করি।’
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার জনগণ প্রয়াত রানির প্রজ্ঞা ও কর্তৃত্বের জন্য তাকে শ্রদ্ধা করে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই জাতীয় গুণাবলির ঘাটতি রয়েছে।‘
রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল রানিকে সমগ্র ইউরোপের ঐতিহ্যের প্রতীক এবং সর্বোচ্চ সংস্কৃতির উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তবে শুক্রবারই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে হতে যাওয়া রানির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পুতিন যোগ দেবেন না। তবে আশা করা হচ্ছে, একজন দূতকে রুশ সরকারের প্রতিনিধি করে পাঠানো হবে।
পুতিনের সঙ্গে রানির সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ডি ডে স্মরণে ফ্রান্সে হওয়া এক ইভেন্টে। এর আগে ২০০৩ সালেও যুক্তরাজ্য সফরের সময় রানির সঙ্গে পুতিনের দেখা হয়।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাতে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য লন্ডনের সঙ্গে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রেমলিনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের তথ্য মতে, রানিও ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা দান করেছেন।
তবে রানির মৃত্যুকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে শোক জানানোর ক্ষেত্রে দুই দেশের দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে আনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘসময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রানির মৃত্যুতে বিশ্বের প্রায় সব দেশের নেতারাই শোক জানিয়েছেন।