গুয়াহাটি, ২৮ আগস্ট (হি.স.) : আজ প্রধানমন্ত্রীর ‘মন-কি বাত’-এ দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত, তার স্পষ্ট চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিম গুয়াহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের রানি মণ্ডলের অন্তর্গত ২২ নম্বর বুথ কর্তৃক কাঁহিকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগীপাড়া কমিউনিটি হল-এ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অমুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। মন-কি বাত অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিতদের সামনে বক্তব্য পেশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা ও নতুন আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন-কি বাত’-এ বিশেষ কিছু বার্তা দেন। প্রানমন্ত্রীর সম্প্রচারিত এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, আজমেরের এক যুবক কীভাবে টেলারিংয়ের কাজ করে অনলাইনের মাধ্যমে বড় ব্যবসা শুরু করেছেন এবং কীভাবে ‘অমৃত সরোবর’-এর মাধ্যমে দেশের উৎসাহী যুবক-যুবতীরা উপকৃত হয়েছেন, কীভাবে তাঁরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোডম্যাপ আঁকতে পেরেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মন-কি বাত’ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বঙাইগাঁওয়ে ‘সম্পূর্ণা’ প্রকল্পের মাধ্যমে যে সব শিশুর স্বাস্থ্য দুর্বল, সেই সঙ্গে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে ‘হর ঘর তেরঙা’ উপলক্ষে যে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়েছে, সে বিষয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য শিখা চৌধুরী, ভারতীয় জনতা পার্টির রানি মণ্ডল সভাপতি হরকান্ত নাথ, ২২ নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি বিপুল দাস, জেলা সভাপতি তপনচন্দ্র দাস, যোগীপাড়া নামঘর সমিতির সভাপতি কামিনী নাথ, যোগীপাড়া শ্রীমন্ত শংকরদেব সংঘের সভাপতি উপেনা নাথ সহ বিশিষ্টজন, অভিভাবক ও যুবক-যুবতীরা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী আজ ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত রানির যোগীপাড়া গ্রামের শ্রীশ্রী চতুর্ভুজ কীর্তনঘরে গিয়ে মানুষের মঙ্গল কামনা করে প্রভুর শ্রীচরণে পুজো করেছেন।