নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ আগস্ট৷৷ জিরানিয়া এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস চরম থেকে চরমতর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে৷ শনিবার রাতে জিরানিয়া এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয় একটি পরিবার ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়৷ জানা যায় যে বাড়িতে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালিয়েছে ওই বাড়ির মালিক বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সমর্থক হিসেবেই কাজ করেছিলেন৷ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কাজকর্ম এবং দলীয় নেতাকর্মীদের কাজকর্মে তিনি রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন৷ সে কারণেই ওই ব্যক্তি শাসক দল ছেড়ে কংগ্রেস বলে যোগদান করেন৷ সে কারণেই গতকাল রাতে তার বাড়িতে হামলা সংগঠিত করা হয়৷ বাড়িতে পরিবারের লোকজনরা না থাকায় ভাগ্যিস প্রাণহানির কোন ঘটনা ঘটেনি৷ জানা যায় বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তারা ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে৷ সোনা গয়না মূল্যবান কাপড়-চোপড় সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তারা লুটপাট করে নিয়ে গেছে৷ ঘটনার পর জিনানিয়া থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে অভিযোগ৷ স্বাভাবিক কারণেই সন্ত্রাসীরা নির্বিবাদে সন্ত্রাস চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে সক্ষম হয়েছে৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল আজ জিরানিয়া সফর করেন৷ ঘটনাস্থল সফর কালে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন রাজ্যে রাজনৈতিক লুটপাট ও সন্ত্রাস চরম আকার ধারণ করেছে৷ তিনি বলেন বিগত নির্বাচনের আগে যারা সরকার পরিবর্তনের জন্য বিজেপির পতাকা তলে শামিল হয়েছিলেন তারা ধীরে ধীরে বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে তারা বিরাট ভুল করেছেন৷ সে কারণেই যাদের মেরুদন্ড রয়েছে এবং মুখ খুলে কথা বলার সাহস রয়েছে তারা বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আসছেন৷ এটা তাদের কোন অপরাধ নয় বলে বিরোধীনেতা মানিক সরকার অভিমত ব্যক্ত করেন৷ এ ধরনের সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন৷ পুলিশকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন৷