BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় বিপুল উত্সাহ ও উদ্দীপনায় শুরু হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচী, নারকেলকুঞ্জে পর্যটনের অসীম সম্ভাবনা দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৩ আগস্ট (হি. স.) : বিপুল উত্সাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় আজাদী কা অমৃত মহোত্সবের অংশ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচী শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচীর অন্তর্গত একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ধলাই জেলায় গণ্ডাছড়ায় নারকেলকুঞ্জে ডম্বুর জলাশয়ে মোটর ইঞ্জিন চালিত বোটে তিরঙ্গা উড়তে দেখে তিনি পর্যটনের অসীম সম্ভাবনার স্বপ্নে ভেসেছেন। তাঁর কথায়, প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি এই জলাশয়ই হয়ে উঠবে আমাদের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র।

দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে আজ নিজ বাসভবনে দিনের শুরুতে পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাথে তিনি এই মহতী কর্মসূচীতে ত্রিপুরাবাসীকেও সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন। এরপর তিনি সরকারি বাসভবনে পতাকা উত্তোলন করেন।

এদিকে, সদর মহকুমার উদ্যোগে আয়োজিত বাইক র‍্যালীর আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। রাজধানীর উমাকান্ত একাডেমী চত্বর থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে নিজ নিজ বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুরোধ জানান তিনি। এ উপলক্ষ্যে কঁচিকাঁচাদের উপস্থিতি দেখে তিনি অভিভূত হন। তাদের সাথে সময় কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ভীষণ উত্ফুল্ল দেখিয়েছে।

আজ সকালে সচিবালয়ের প্রবেশদ্বারে ৩০.৫ মিটার উচ্চতার হাই মাস্ট-র শুভ উদ্বোধন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে এই মহতি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

এরপরই স্বচ্ছ ত্রিপুরা, সবুজ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে ‘রান ফর গ্রীন ত্রিপুরা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সচিবালয় কমপ্লেক্সে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। আজকের দিনে সকলের প্রতি তিনি আহ্বান রাখেন, ‘গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান’।

এদিকে, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে আজ গন্ডাছড়া মহকুমার নারকেল কুঞ্জে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। নারকেল কুঞ্জের ডম্বুর জলাশয়ে মোটর ইঞ্জিন চালিত বোটের সুদৃশ্য শোভাযাত্রাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে সামিল হয়ে তিনি খুবই আনন্দিত ও অভিভূত হন।তাঁর আশা, ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই মনোরম স্থান পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এই এলাকা আগামীদিনে আরো কিভাবে সুন্দর করা যায় এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষিত করা যায় এনিয়ে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে, দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন, প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি এই জলাশয়ই হয়ে উঠবে আমাদের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *