BRAKING NEWS

ডিজিটালাইজড বর্ণ শংসাপত্র, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাতে অসমে চালু ‘মিশন ভূমিপুত্র’ পোর্টাল

গুয়াহাটি, ১ আগস্ট (হি.স.) : ডিজিটালাইজড বর্ণ (জাতিগত) শংসাপত্র প্রদানের জন্য ‘মিশন ভূমিপুত্র’ শীৰ্ষক পোর্টাল চালু করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ সোমবার শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রের মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমাৰি, উপাধ্যক্ষ ডা. নোমল মমিন, মন্ত্রীবৰ্গ যথাক্ৰমে ডা. রণোজ পেগু, পীযূষ হাজরিকা, ইউজি ব্ৰহ্ম, অশোক সিংঘল, জয়ন্তমল্ল বরুয়া ও নন্দিতা গারলোসা, উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গারলোসা, মুখ্যসচিব জিষ্ণু বরুয়া, বেশ কয়েকজন বিধায়ক, বিভিন্ন স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী ও কাৰ্যনির্বাহী সদস্য, অসম সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীয় সংগঠনের প্ৰতিনিধিবৰ্গের উপস্থিততে ‘মিশন ভূমিপুত্র’ শীৰ্ষক পোর্টাল চালু করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

এই পোর্টালের উন্মোচন করে প্রদত্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার তফশিলি জাতি, তফশিলি জনজাতি, অন্যান্য পশ্চাদপদ জাতি (ওবিসি) এবং এমওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত অসমের সমস্ত ব্যক্তি ও ছাত্রদের একটি সরলীকৃত পদ্ধতিতে বর্ণ শংসাপত্র প্রদান করবে। আবেদনপত্ৰ জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যে ‘মিশন ভূমিপুত্র’ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সহ অন্যরা ডিজিটালাইজড বর্ণ শংসাপত্র পাবেন, বলেন, মুখ্যমন্ত্রী। বর্ণ শংসাপত্র পেতে গিয়ে ঘুষ দেওয়া বা নেওয়ার অভ্যাস কমাতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, অসমে জাতিগত শংসাপত্ৰ প্ৰদান ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবৰ্তন সাধন করার লক্ষ্যে আজকের গাম্ভীৰ্যপূৰ্ণ অনুষ্ঠানে আজ ‘মিশন ভূমিপুত্ৰ’ প্রকল্পের শুভারম্ভ করতে পেরে তিনি অতিশয় আনন্দিত। এই প্রকল্পের বলে জাতিগত প্ৰমাণপত্ৰ লাভের ক্ষেত্ৰে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ৰছাত্ৰীরা যে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছিল তার সমাপ্তি ঘটবে। তাছাড়া এই প্ৰমাণপত্ৰ প্ৰদান প্ৰক্ৰিয়াটি স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্ৰশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে জনসাধারণকে অধিক কাছে সংযুক্ত করার ব্যাপারে সহায়তা করবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করার সময় আদিবাসীদের জাতীয়তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন না করার আহ্বান জানান।

‘অন্যান্য দেশে সবকিছুই ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। ওই সব দেশে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে মানুষকে কষ্ট করতে হয় না, শুধুমাত্র তাঁদের কার্ড জমা দিতে হবে, যা তাঁরা যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করতে ডিজিটালি মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু অসমে সাধারণ রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য মানুষ অনেক কষ্ট করেন।’ বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা। তিনি বলেন, ‘অসমের মানুষ দালালরাজের সাথে সরকারি কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এভাবেই আমাদের সমাজে দালালের ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষও ভাবতে শুরু করেছেন যে, এটি একটি নিয়ম। তাই ৭৫ বছর ধরে এ সব ব্যাপারে কোনও অভিযোগ কেউ করেননি,’ যোগ করেন তিনি।

মিশন ভূমিপুত্র প্রকল্প একটি মিশন-ভিত্তিক স্কিম যা বর্ণ শংসাপত্র প্রদানের প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করতে তৈরি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তফশিলি জাতি ছাত্র ইউনিয়ন জাল শংসাপত্র জারি করা হতে পারে বলে ভীতি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব বলেন, এতে ভীতি বা কোনও আশঙ্কার অবকাশ নেই।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, ‘আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলার জেলাশাসক কৰ্তৃক ডিজিটালি স্বাক্ষরিত শংসাপত্রগুলি জারি করা হবে, যা ছাত্রদের বৰ্ণ শনাক্ত / অনুমোদন করতে বিভিন্ন বর্ণের সরকারি সংস্থাগুলিকে সহায়তা করবে। তবে এটা এনআরসি বা লিগ্যাসি ডেটার সাথে যুক্ত নয়।’

আরও তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেলাশাসকরা সংশ্লিষ্ট ফরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেবেন। যা-ই হোক, চতুর্থ শ্রেণি এবং তার উপরের ছাত্ররা পরের বছর থেকে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে পারবে। ফর্মগুলি ডিজি লকারে উপলব্ধ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *