মেদিনীপুর, ১০ জুলাই (হি.স.): মৃত এনভিএফ কর্মী এক আত্মীয়র চাকরি হাতাতে গিয়ে গ্রেফতার মেদিনীপুরের যুবক।ছেলে-হিসেবে যাবতীয় ভুয়ো তথ্য দাখিল করে দিয়েছিলেন বোর্ডে। চাকরিও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বাদ সাধল পুলিশ ভেরিফিকেশন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবক-সহ ভুয়ো চাকরি চক্রের আরও দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যার মধ্যে একজন আবার নিজেকে এনভিএফ অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী বলেও দাবি করেন। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারকের তাঁদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থেকে। কেশিয়াড়ির বাসিন্দা যুবক উজ্জ্বল মাইতি এনভিএফে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন জেলার এনভিএফ বোর্ডে। আবেদনপত্রে দেখিয়েছিলেন তাঁর বাবা নারায়ণ মাইতি এনভিএফ কর্মী ছিলেন। যিনি মারা গিয়েছেন কর্তব্যরত অবস্থায়। তাই আইন অনুসারে সেই চাকরির উত্তরাধিকারী তিনি। আবেদনপত্র অনুসারে চাকরির ভেরিফিকেশন শুরু হয়ে গিয়েছিল।
মেদিনীপুর থেকে আধিকারিকরা স্পট ভেরিফিকেশন করতে গিয়েই জানতে পারেন আবেদনকারী যুবক উজ্জ্বল মাইতির বাবা প্রবীর মাইতি। মৃত ব্যক্তি নারায়ণ মাইতি তাঁর আত্মীয়। অথচ নারায়ণ মাইতিকে বাবা সাজিয়ে আধার, ভোটার-সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরপরই বোর্ডের নির্দেশে ডি আই বি এর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের হয় মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানায়।
এরপর পুলিশ তদন্ত নেমে চাকরি প্রার্থী যুবক উজ্জ্বল মাইতি-সহ জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, গোবিন্দপ্রসাদ চক্রবর্তী তিন জনকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের তাঁদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তবে এই ঘটনায় এনভিএফে জাল চাকরি চক্রের তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ধৃত জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ এনভিএফ অ্যাসোসিয়েশনের পদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পদে থাকার সুবাদে এই জাল চাকরির চক্র চালাচ্ছেন কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ। যদিও মেদিনীপুর আদালতে জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন, সাংগঠনিক শত্রুতার জেরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে।