মুম্বই, ৩০ জুন ( হি. স.) : উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার পরই নতুন সরকার গঠনে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের নেতৃত্বেই নয়া সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে। তাদের সমর্থন দেবে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপি নেতারা বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে, শিন্ডেও মুম্বই রওনা দেওয়ার আগে তাঁর শিবিরের বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা করবেন। বুধবার রাতে উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দিতেই বিজেপি পার্টি অফিসে মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়। দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের মুখে চওড়া হাসির রেখা দেখা যায়। সব ঠিক থাকলে আড়াই বছরের ব্যবধানে তিনিই ফের মহারাষ্ট্রের মসনদে বসতে চলেছেন।
অন্যদিকে, রায় ঘোষণার পরেই শিণ্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা অসম থেকে গোয়া উড়ে আসেন। রাতে বিজেপি শাসিত প্রতিবেশী রাজ্য গোয়ার একটি পাঁচতারা হোটেলে উঠেছেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের সরাসরি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে বলেই ঠিক হয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল তাঁদের অনুরোধ করেছেন, বৃহস্পতিবার মুম্বই না গিয়ে একেবারে শুক্রবার শপথের সময় যেতে। আসলে বিজেপি কোনওরকম ঝুঁকিই নিতে চাইছে না। শোনা যাচ্ছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ফর্মুলা সিক্স মেনে নতুন মন্ত্রিসভা সাজাবেন। অর্থাৎ ৬ জন বিধায়ক পিছু একজন করে মন্ত্রী। এই মুহূর্তে নির্দল এবং প্রহার পার্টি মিলিয়ে একনাথ শিণ্ডে শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা পঞ্চাশের আশেপাশে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ফের মন্ত্রী করা হবে। এছাড়াও আরও দুই প্রতিমন্ত্রী পেতে পারে শিব সেনা। আর বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিণ্ডেকে করা হতে পারে উপমুখ্যমন্ত্রী।
তবে রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হল, শিন্ডে গোষ্ঠীর বিধায়কদের উদ্ধব ঠাকরে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করলে, শিন্ডেকে হয় নতুন দল গঠন করতে হবে। আর তা না হলে বিজেপিতে মিশে যেতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয়টি নিয়ে একনাথের ঘরেই প্রবল আপত্তি আছে। কেননা অনেক বিদ্রোহী বিধায়ক আছেন, যাঁরা বিজেপিতে ভিড়তে নারাজ। কারণ, এলাকার রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী পরবর্তী ভোটে বিজেপি টিকিটও না দিতে পারে।