BRAKING NEWS

Special Train:৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত শিলচর-নিউ হাফলং ও গুয়াহাটি-লাংটিঙের মধ্যে চলবে দুটি স্পেশাল ট্রেন

গুয়াহাটি, ২৯ জুন (হি.স.) : অসমের পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে শিলচর-নিউ হাফলং-শিলচর এবং গুয়াহাটি-লাংটিং-গুয়াহাটির মধ্যে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত (এনএফ) রেলওয়ে। স্পেশাল ট্রেন দুটি আগামীকাল ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দৈনিক ভিত্তিতে চলাচল করবে। কিন্তু গুয়াহাটি-লাংটিং-গুয়াহাটি স্পেশাল শনিবার চলাচল করবে না, জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

এক প্ৰেসবাৰ্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, ০৫৬১৬ নম্বর শিলচর-নিউ হাফলং স্পেশাল ট্রেনটি শিলচর থেকে ০৭.২০ ঘণ্টায় রওয়ানা দিয়ে নিউ হাফলঙে ১১.৩০ ঘণ্টায় পৌঁছবে। ০৫৬১৫ নম্বর নিউ হাফলং-শিলচর স্পেশাল ট্রেনটি নিউ হাফলং থেকে ১৫.৩০ ঘণ্টায় রওয়ানা দিয়ে ২০.৩০ ঘণ্টায় শিলচর পৌঁছবে। উভয় পথে যাত্রার সময় স্পেশাল ট্রেনটি বদরপুর, সুকৃতিপুর, হিলারা, বিহারা, চন্দ্রনাথপুর, দামছড়া, বান্দরখাল, ডিটকছড়া, নিউ হারাঙ্গাজাও এবং জাটিঙ্গা লামপুর স্টেশনে স্টপেজ দেবে। ১১টি কামরা নিয়ে এই স্পেশাল ট্রেন চলবে। এতে দুটি সিটিং কাম লাগেজ কোচ, তিনটি জেনারেল সিটিং, দুটি নন্ এসি চেয়ার কার এবং চারটি স্লিপার ক্লাস কোচ থাকবে।

এছাড়া ০৫৬১১ নম্বর গুয়াহাটি-লাংটিং স্পেশাল ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে ০৮.১৫ ঘণ্টায় রওয়ানা দিয়ে লাংটিঙে ১২.৪৫ ঘণ্টায় পৌঁছবে। ০৫৬১২ নম্বর লাংটিং-গুয়াহাটি স্পেশাল ট্রেনটি লাংটিং থেকে ১৪.০৫ ঘণ্টায় রওয়ানা দিয়ে ২০.০০ ঘণ্টায় গুয়াহাটি পৌঁছবে। উভয় পথে যাত্রার সময় স্পেশাল ট্রেনটি জাগিরোড, চাপরমুখ, হোজাই, লংকা, লামডিং, মান্দারদিসা, হাতিখালি ও দিবলং স্টেশনে স্টপেজ দেবে। সাতটি কামরা নিয়ে এই স্পেশাল ট্রেনে একটি সিটিং কাম লাগেজ কোচ ও ছয়টি জেনারেল সিটিং কোচ থাকবে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও বৃহৎ ভূমিধসের ফলে লামডিং ডিভিশনের লামডিং-বদরপুর পাহাড়লাইনে ৮৫ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই সেকশনের ৬১টিরও অধিক স্থানে ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ১৪ মে থেকে ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা ও অসমের কিছু অংশের যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছিল। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে পাহাড় লাইননকে পুনরায় স্বাভাবিক করে তোলার জন্য দিন-রাত কাজ চালানো হচ্ছে, জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *