নয়াদিল্লি, ২৬ জুন ( হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করলেন। তিনি এটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি ‘অন্ধকার অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি আমাদের গণতান্ত্রিক মানসিকতার একটি শক্তিশালী বিজয়ের দিকে পরিচালিত করেছিল।
এদিন মন কি বাত-এর ৯০ তম পর্বের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের প্রজন্মের যুবকরা জেনে অবাক হবেন যে একসময়ে তাদের পিতামাতার বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এতে দেশের নাগরিকদের থেকে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। সেই অধিকারগুলির মধ্যে একটি ছিল সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘জীবন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার’।
তিনি বলেন, সে সময় ভারতের গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেশের আদালত, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, প্রেস, সবই নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেন্সরশিপের এমন অবস্থা ছিল যে অনুমোদন ছাড়া কিছুই ছাপা যাবে না।
এ সময় বিখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের আজ্ঞা মানতে অস্বীকার করায় কিশোর কুমারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “অনেক চেষ্টা, হাজার হাজার গ্রেফতার ও লাখ লাখ মানুষের ওপর নৃশংসতার পরও গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের মানুষের বিশ্বাস টলে যায়নি। আমাদের ভারতবর্ষে বহু শতাব্দী ধরে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ চলে আসছে। আমাদের শিরা-উপশিরায় যে গণতান্ত্রিক চেতনা রয়েছে তারই জয় শেষ পর্যন্ত।