BRAKING NEWS

Investigation : চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের দুর্ঘনাটি ইচ্ছাকৃত! ইঙ্গিত তদন্তে

বেজিং, ১৮ মে (হি.স.): যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, গত মার্চে চিনের যাত্রিবাহী চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটিকে ইচ্ছা করেই দুর্ঘটনায় ফেলা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

গত মার্চে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝৌ যাচ্ছিল। বিমানে ১৩২ জন যাত্রী ছিলেন। ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে গোত্তা খেয়ে গুয়াংশির পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য বলছে, ভেঙে পড়ার সময় বিমানে গতি ছিল ১১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই দুর্ঘটনায় বিমানের সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সপ্তাহখানেক পর প্লেনটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার সম্ভব হয়। এরপরই সেটি তদন্তে নেমে পড়েন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল বলে ধারণা পাওয়া গেছে। যদিও দুর্ঘটনার সময় ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তদন্তকারীরা সেখান থেকে কোনো তথ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তকারীরা ব্ল্যাক বক্স খতিয়ে দেখার পর দাবি করেন, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। দুর্ঘটনার দিন পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। কিন্তু কোনও ভাবেই সাড়া পাওয়া যায়নি। বিমান থেকেও কোনও বিপদসঙ্কেত পাঠানো হয়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ককপিট কারও দখলে চলে গিয়েছিল। বিমান সংস্থা চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে, পাইলট এবং সহকারী পাইলট দু’জনেই সুস্থ ছিলেন এবং তাঁদের পারিবারিক বা আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল না। তা হলে কারা দুর্ঘটনায় ফেলল বিমানটিকে, তা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *