Higher Secondary Exam : উচ্চ মাধ্যমিকের ফিলোসফি পরীক্ষার প্রশ্ণপত্র নিয়ে তীব্র অসন্তোষ পরীক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ উচ্চ মাধ্যমিক সেকেন্ড টার্মের ফিলোসোফি পরীক্ষা ছিল বুধবার৷ পরীক্ষার প্রশ্ণপত্র নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় ধর্মনগর সহ উত্তর জেলার বিভিন্ন সুকলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে৷ যেখানে ইংরেজি, বাংলা ,রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান, ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা খুবই খুশি ছিল৷ আজ অনেকেই ফিলোসোফি পরীক্ষা দিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে বলে জানা যায়৷ কারণ তাদের প্রশ্ণপত্রে বেশিরভাগই ছিল ঘুরানো প্রশ্ণ৷ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার হলে উপস্থিতিতে প্রশ্ণ বুঝে উঠতে অসুবিধা হয়৷

এছাড়াও প্রশ্ণগুলোর উত্তর বেশিরভাগই ব্যাখ্যামূলক, যেখানে প্রতিটি প্রশ্ণের জন্য নির্ধারিত নম্বরের সঙ্গে উত্তরের সামঞ্জস্য নেই বলে অভিযোগ৷ যার ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তর করতে পারেনি বলে অভিযোগ৷ এইভাবে প্রশ্ণপত্র হওয়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকেরা চরম ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে জানা গেছে৷ প্রশ্ণকর্তা যিনি প্রশ্ণ করেছেন তার সবটুকু বাহাদুরি উজাড় করে প্রশ্ণের মধ্যে তুলে ধরেছেন এমনই অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের৷ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ণপত্র কতটুকু বোধগম্য হলো বা কতটুকু উত্তর করতে পারল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই হিসাবটুকু তিনি ভুলে গিয়েছিলেন এমনই অভিযোগ৷

প্রশ্ণপত্রকে কেন্দ্র করে উত্তর জেলার বিভিন্ন সুকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ণপত্র বোঝার ক্ষেত্রে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ তুলছে৷যার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তর করতে পারেনি এবং বিভিন্ন বড় মাপের উত্তরগুলি ১ ও ২ মার্কের জন্যে প্রশ্ণপত্রের দেওয়া হয়েছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ৷ যেখানে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকার এবং শিক্ষা কমিশন ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে সরলীকরণ করার জন্য চেষ্টা করেছেন সে ক্ষেত্রে কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকার খামখেয়ালীপনা ও ব্যক্তিগত ঔদ্ধত্য জাহির করতে গিয়েই হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷দাবি উঠছে এর দায়ভার কে নেবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *