নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ রাজ্যে উৎপাদিত রাবারের সঠিক ব্যবহার ও সঠিক মূল্য প্রদানের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিআইটিইউ নেতা মানিক দে৷ মঙ্গলবার আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে রাবার শ্রমিক ইউনিয়নের ১০ দফা দাবিতে আয়োজিত গণ-অবস্থান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আহ্বান জানান প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী সিট্যু নেতা মানিক দে৷ এদিন ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে ত্রিপুরা রাবার শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তিন ঘন্টার গণবস্থান পালন করা হয়৷
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ,রাবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ,ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনরায় নিয়োগ করার ব্যবস্থা করা এবং রাবার শিল্পকে বাজারজাত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রভৃতি৷ গন অবস্থানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সিট্যু নেতা মানিক দে৷ গন অবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিট্যু নেতা মানিক দে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একচেটিয়া পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে স্থানীয় শিল্প এবং শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন৷ তিনি বলেন রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে রাবার উৎপাদন হচ্ছে৷ অথচ বর্তমান সরকার রাবারের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারছে না৷ রাজ্যের রাবার উৎপাদনকারীরা উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না৷ এর আসল কারণ ব্যক্ত করতে গিয়ে সিট্যু নেতা মানিক দে বলেন, রাবার উৎপাদনকারী সংস্থা গুলি বিদেশ থেকে সিন্থেটিক রাবের আমদানি করে শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বিদেশ থেকে সিন্থেটিক রাবার আমদানি করার ফলে দেশের রাবার শিল্প ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে৷ বিদেশ থেকে সিনথটিক রাবার আমদানি করার ফলে রাজ্যের ক্ষুদ্র রাবার চাষের মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
রাবারের দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রাবার চাষিরা এবং এর প্রভাব পড়ছে রাবার শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের উপর৷ রাবারের বাজারমূল্য ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার ফলে শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ রাজ্যের রাবার চাষীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং রাবার শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে বিদেশ থেকে সিন্থেটিক রাবার আমদানি বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন একচেটিয়া পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে সিন্থেটিক আবার আমদানি করার সুযোগ দেওয়ার ফলে স্থানীয় রাবার শিল্প মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার যদি অনতিবিলম্বে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে রাজ্যের চাষিরা অদূর ভবিষ্যতে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন৷