BRAKING NEWS

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট, প্রতিবাদে পথ অবরোধ কৈলাসহরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে৷৷ দীর্ঘদিন ধরে কৈলাসহরের ইরানী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব রয়েছে৷ এব্যাপারে স্থানীয় মানুষরা কয়েকবার দপ্তরের আধিকারিকদের লিখিত ভাবে এবং মৌখিক ভাবে জানানোর পরও দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ভুমিকা নেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ রয়েছে৷ ইরানি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মাত্র আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রয়েছে৷ তাও এই চিকিৎসক প্রতিদিন হাসপাতালে যায় না৷ চিকিৎসক উনার মর্জিমাফিক যেদিন ইচ্ছে যান তাও আবার সময়মতো যান না৷ দুপুর বারোটার পরে চিকিৎসক হাসপাতালে গিয়ে দুপুর দেড়টায় ফিরে আসেন৷ রোগীরা সকাল থেকে হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করে অসহ্য হয়ে চলে যান৷ হাসপাতালে ল্যাব থাকলেও হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই৷ যায় ফলে সাধারণ মানুষরা স্বাস্থ্য পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ আশ্চর্যের হলেও সত্যি যে, হাসপাতালে একজন মাত্র আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রয়েছেন এবং এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকই রোগীদের এলোপ্যাথিক ঔষধের প্রেসক্রিপশন করছেন৷ চৌদ্দ মে শনিবার দুপুর বারোটা অব্দি হাসপাতালে চিকিৎসক না আসায় সাধারণ মানুষরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের মুল গেইট তালা বন্ধী করে হাসপাতালের সামনেই বাবুরবাজার থেকে মাগুরুলি যাবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে৷ বিক্ষোভের খবর পেয়ে ইরানি থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী অবরোধস্থলে হাজির হয়৷ উল্লেখ্য, ইরানি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিসেবার উপর প্রায় দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ি হাজার মানুষ নির্ভরশীল৷ দুপুর সোয়া তিনটা নাগাদ কৈলাসহরের মহকুমাশাসকের অফিস থেকে দুইজন ঙ্গঙ্খঞ্চ অবরোধস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন৷ দুইজন ঙ্গঙ্খঞ্চ অবরোধকারীদের বক্তব্য শোনার পর ঊনকোটি জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে ফোনে কথা বলে অবরোধকারীদের জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুই চিকিৎসক ইরানি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেওয়া হবে৷ এই আশ্বাস পাবার পর অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *