BRAKING NEWS

Bhagwan Chandra Das : প্রাণী সম্পদ পালনের মধ্যদিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরাণিত হয় : প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী

ধর্মনগর, ১৭ এপ্রিল : প্রাণী সম্পদ পালনের মধ্যদিয়ে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরাণিত হয়৷ এতে গ্রামীণ এলাকার মানুষ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেন৷ পাশাপাশি রাজ্য ডিম, দুধ এবং মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠে৷ এজন্য সুুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ আজ ধর্মনগরে উন্নত প্রজাতির গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস৷

প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উত্তর ত্রিপুরা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, কম সময়ের মধ্যে রোজগারের অন্যতম ক্ষেত্র প্রাণী পালন৷ প্রাণী পালনের মাধ্যমে রাজ্যে হাজার হাজার পরিবারকে রোজগারের সাথে যুক্ত করা গেছে৷ মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের যে স্বপ ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়া৷ প্রাণী পালনের মাধ্যমেই ঘরে ঘরে রোজগার দেওয়া সম্ভব৷ তিনি বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষকে প্রাণী পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ প্রাণী পালনের মাধ্যমে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে, অন্যদিকে দুধ, ডিম, মাংস উৎপাদনে রাজ্য স্বয়ংসম্পর্ণ হবে৷ তখন আর বাইরে থেকে এগুলি আমদানী করতে হবে না৷ বরং রপ্তানী করার সুুযোগ আসবে৷

তিনি বলেন, রাজ্যে জমি রয়েছে, কৃষক রয়েছে, কৃষকদের স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর এই উদ্যোক্তাদের সঠিক সহযোগিতা করবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে ১২টি ভেটেরিনারী মোবাইল ভ্যান পরিষেবা চালু করা হবে৷ পশু-পাখীদের রোগ নির্ণয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিষেবা দেবে এই মোবাইল ভ্যানগুলি৷

অনুষ্ঠানে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হল রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর করে তোলা৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি, পরিবহণ, প্রাণীসম্পদ বিকাশ, মৎস প্রতিটি দপ্তর রাজ্যের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে৷ এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস, কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন টিংকু শর্মা, দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ডা. বিমল কৃষ্ণ দাস৷

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের ধর্মনগরস্থিত কার্যালয়ের উপধিকর্তা ডা. প্রাণকুমার দাস৷ উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ৩৯ জন এবং ঊনকোটি জেলার ১০ জন সুুবিধাভোগীকে উন্নত প্রজাতির গরু বিতরণ করা হয়৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার যুবরাজনগর ব্লকের উপ্তাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ জন এবং কালাছড়া ব্লকের আলগাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ জন সুুবিধাভোগীদেরকে এদিন গরু বিতরণ করা হয়েছে৷ নথ-ইস্টার্ন কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পটি রাজ্যে রূপায়ণ করা হচ্ছে৷ সুুবিধাভোগী পিছু নববই হাজার টাকা করে ব্যয় হচ্ছে৷ এর মধ্যে উন্নত প্রজাতির গরু, ছয় মাসের জন্য গরুর খাদ্য, গরুর থাকার জন্য ঘর নির্মাণের জন্য নয় হাজার টাকা, গরুর বীমা, ঘাস চাষ ইত্যাদি বিষয় প্রকল্পের অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *