ঝাড়গ্রাম, ৮ এপ্রিল ( হি. স.) : মাওবাদীদের ডাকা বাংলা বনধে ব্যাপক সাড়া পড়ল জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলায়। শুক্রবার সকাল থেকেই শুনশান ছিল রাস্তাঘাট, বন্ধ ছিল দোকান বাজার। এদিন সকাল থেকেই দেখা মিলল না সরকারি বাসের।উল্লেখ্য এক সময় মাওবাদী প্রভাবিত ব্লক গুলিতে বনধ প্রায় সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে। অতীতে মাওবাদীদের ডাকা বনধে এরকম প্রভাব দেখা যায় নি ঝাড়গ্রাম জেলায়।এ
শুক্রবার জেলা সদর ঝাড়গ্রামেও ছিল বনধের মিশ্র প্রভাব। অন্যান্য দিনের মতো দোকান বাজার বিশেষ খোলে নি।তবে এই বনধের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে বেলপাহাড়ি,লালগড়,বিনপুর,জামবনি ব্লকে।এই সব জায়গাতে সকাল থেকে দোকান বাজার সবই বন্ধ ছিল।রাজ্য সড়ক ছিল একেবারে ফাঁকা।একসময় মাওবাদীদের আতুর ঘর বলে পরিচিত ছিল বেলপাহাড়ি,লালগড়,জামবনি এবং বিনপুর এক ব্লকের লালগড় ছাড়াও একটা বড় অংশ প্রভাব ছিল।আর এদিনের বনধে এইসব এলাকা গুলিতে বলা যেতে পারে সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছিল।গত কয়েকদিন ধরে বিনপুর থানার কাঁকো অঞ্চলে এবং বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহা অঞ্চলে লাল কালিতে লেখা মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সাঁটিয়ে শাসক দলের দূর্নীতি ও স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরিতে নিয়োগের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ির শিমূলপাল অঞ্চলের লবনি গ্রামের সংলগ্ন জঙ্গল থেকে একটি ল্যান্ড মাইন উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে চার পাঁচ দিন আগেই ওই মাইনটি পোঁতা হয়েছিল। আর মাইন উদ্ধারের ঘটনার পরেই এলাকার মানুষদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। মানুষ জন ভয়ে দোকান বাজারে দিকে পা বাড়ায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্টারে মৃত্যু দন্ডের হুঁশিয়ারিতে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করেছে। যার ফলেই এই বনধ বলে মনে করা হচ্ছে।শিলদা,বেলপাহাড়ির বিস্তৃর্ন অংশ,জামবনি ব্লকের পড়িহাটি,গিধনি,বিনপুর থানার দহিজুড়ি,কাঁকো সহ বিভিন্ন অঞ্চল,লালগড় থানা এলাকা গুলিতে প্রভাব ছিল ব্যাপক।এদিকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে জঙ্গলমহলে ছিল প্রখর নজরদারি।