BRAKING NEWS

Protest : ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করছে সিপিআই(এমএল)

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৮ এপ্রিল৷৷ পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের  অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করার ডাক দিয়েছে সিপিআই(এমএল), কেন্দ্রীয় কমিটি৷সম্প্রতি ৪ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর এখনো পর্যন্ত ১৫ বার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ ত্রিপুরায় প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেল যথাক্রমে ১১০ টাকা ও ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷ রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার পিছু দাম ১১১০ টাকা৷ ভারতে জ্বালানির এই চরম মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে নয়, এমনকি মাথাপিছু বেশী আয় সম্পন্ন মার্কিন দেশের চাইতেও বেশী৷ খুচরা মূদ্রাস্ফীতি ৬’’০৭৷ বাজারে ঔষধের দাম আকাশছোঁয়া৷ এর প্রধান কারণ একদিকে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে তা তেল কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিয়েছে এবং অন্যদিকে জ্বালানির উপর অন্তঃশুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে৷ অথচ দেশের কপর্োরেটদের উপর ও ধনীদের উপর হাজার হাজার কোটি টাকার কর ছাড় দিয়েছে৷ আর এর ফলে সমস্ত করের বোঝা দেশের বেশীর ভাগ গরীব ও সাধারণ জনগণকে মেটাতে হচ্ছে৷ বিজেপি ও সংঘ পরিবার নিজেদের দলীয় নির্বাচনী তহবিল স্ফীত করার স্বার্থে এই কাজ করছে৷ আর এখন দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার কাছ থেকে মাত্র ৩৫ ডলার প্রতি ব্যারেল কাঁচা তেল কিনবে ভারত৷যা ৬৫ কম পড়বে৷ এতে তেল কোম্পানি ও বিজেপি -র বিরাট লাভ হবে৷ আর এই ধান্দা কপর্োরেট পুঁজিবাদের সাথে অসৎ পথে জোটবদ্ধ হয়ে মোদি সরকার ও সংঘ পরিবার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে এক আর্থিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে৷যার ফলে দেশব্যাপী খাদ্য,ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম মূল্যবৃদ্ধি ঘটে চলেছে৷ তীব্র বেকারত্ব বৃদ্ধি,কর্মের অনিশ্চয়তা,চুক্তিবদ্ধ ও অনিয়মিত মজুরি এবং মূল্যবৃদ্ধি দেশকে আর্থিক মন্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ এর বিরুদ্ধে গজর্ে উঠতে হবে৷


পাশাপাশি ৪ রাজ্যে নির্বাচনে  জয়লাভের পরে দেশে ফ্যাসিবাদী হামলা আরো তীব্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলেছে৷ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য যেমন ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্রকে ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে৷ বিহারে সরকার চালাতে বিজেপি চালকের আসনে জেডিইঊ ও নীতিশকে পুতুল হিসাবে ব্যবহার করছে৷ দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, বিদ্বেষ ও হিংসা আরো বেশী তীব্র করে জনগণের মধ্যে বিভাজন কায়েম করে রেখেছে৷ আমাদের রাজ্যে বিরোধীদের উপর হামলা তীব্র করে তুলেছে৷ এই পরিস্থিতিতে সিএএ বিরোধী সমান নাগরিকত্বের দাবিতে মুসলিম নারীদের আন্দোলন, ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের মত রাস্তায় জনগণের আন্দোলনই দেশে একমাত্র কার্যকরী বিরোধী পক্ষের ভূমিকা গ্রহণ করেছে৷ এই ফ্যাসিবাদী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে৷ পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের উপর অন্তঃশুল্ক কমাও৷ ধনীদের উপর শুল্ক বৃদ্ধি কর৷ খাদ্য, ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্যের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম কর৷ সরকারি সমস্ত শূণ্যপদ পূরণ কর৷ নতুন শূণ্যপদ সৃষ্টি কর৷ মনরেগা ও টুয়েপ প্রকল্পে বছরে ২০০ দিনের কাজ ও ৭০০ টাকা দৈনিক মজুরি দাও – এই দাবিতে প্রতিটি পার্টি কমিটি ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে৷ জনগণের মধ্যে গিয়ে এই দাবিতে সোচ্চার হতে ও প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে সিপিআই(এমএল) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পার্থ কর্মকার এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *