ঢাকা, ৭ এপ্রিল (হি.স.) : বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাইল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাস। আইনমন্ত্রী পরে জানান, ‘এই সাক্ষাৎ ছিল নেহাতই সৌজন্যমূলক। সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আমাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা আমাদের দাবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের হত্যাকারী এবং আদালতে দোষী সাব্যস্ত রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় রয়েছে। তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হোক।‘
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্বীকার করে নিয়েছেন, বিষয়টা স্পর্শকাতর তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। হোয়াইট হাউজ চায় না ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এর প্রভাব পড়ুক। এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। তবে এখনই তা নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।‘
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাক্ষাৎকার নেহাতই সৌজন্যমূলক হলেও নিয়োগপত্রে উল্লেখ থাকা দুটি বিষয়ে কথা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা, দ্বিতীয়টি প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের দায়ের করা একটি মামলা। ওই মামলা বিচারাধীন। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য আনা হয়নি। শুধুমাত্র সাইবার অপরাধ রুখতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, সেটাও ওনাকে জানিয়েছি। জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের কথা। দ্বিতীয় বিষয়ে ওনার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, দূতাবাস হয়তো একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করতে পারে।