BRAKING NEWS

গাঁজা : আশাবাড়ীতে মাটির নিচে মজুত রাখা পঞ্চাশ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার করল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২৭ মার্চ৷৷ পাচার বাণিজ্যের একটি অন্যতম স্থান হল সোনামুড়া মহাকুমা৷ সোনামুড়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন  রাতের অন্ধকারে পাচার বাণিজ্য চালায় পাচারকারীরা৷

সাম্প্রতিক দেখা গেছে সোনামুড়া মহাকুমার কমলনগর, মতিনগর কুলুবাড়ি,আশাবাড়ি,রহিমপুর এসব এলাকা গুলোতে গাঁজা চাষ ছাড়াও ইয়াবা ট্যাবলেট,গরু পাচার,ফেনসিডিল,এসকফ এই সব ব্যবসায় জড়িত রয়েছে অনেক যুবকরা৷একদিকে পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে বিএসএফকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু পাচারসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার করে বাংলাদেশে৷ পাচারকারীদের রুখতে সর্বদা বদ্ধপরিকর বিএসএফ জওয়ানরা৷সাম্প্রতিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের অতিরিক্ত  ক্ষমতা দেওয়ার পর থেকেই সীমান্তে মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হচ্ছে জওয়ানরা৷

গত পাঁচ মাস যাবৎ সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর সহ বিভিন্ন এলাকার সীমান্তে ১৫০নং ব্যাটেলিয়ান জওয়ানরা আসার পর থেকেই বাংলাদেশের সীমান্তের পাচার করার আগেই অভিযান করে সাফল্য অর্জন করছেন৷১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ জওয়ানরা বক্সনগর সীমান্তে আসার পর থেকেই বেকায়দায় পাচারকারীরা৷এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবার কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ী দুপরিয়াবান্ধ এলাকায়  দুপুর ১ ঘটিকা থেকে বিকাল ৭  টা পর্যন্ত টানা ছয়ঘন্টা অভিযান করার পর গাঁজা গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়৷ বিএসএফের কাছে গোপন খবর আসে কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ী দুপরিয়াবান্ধ এলাকার জাতক মিয়ার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত জায়গায় প্রচুর পরিমাণে নেশা সামগ্রী মজুদ করা রয়েছে৷খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ও কলমচৌড়া থানার পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালায়৷ তল্লাশি করে প্রচুর গাঁজা উদ্ধার করে৷

জানা গেছে ২০টি নীল রঙের ড্রামে ১০০০কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা৷যার বাজারজাত মূল্য প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা৷গাঁজাগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে মাটির নিচে মজুদ করা ছিল৷তবে বিএসএফ জওয়ানরা গাঁজা উদ্ধার করতে পারলেও পাচারকারীদের আটক করতে পারেনি৷ গাঁজা গুলি কার তাও এখনো চিহ্ণিত করা যায়নি৷ পুলিশ এখনো কারোর বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি৷ এই অভিযানে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ১৫০ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের আধিকারিক জওয়ানরা এবং পুলিশ ও ডিআরআই যৌথ অভিযান করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *