BRAKING NEWS

Nitin Gadkari : মাজুলিতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর সেতু নির্মাণের পেছনে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী সনোয়ালের অবদান, লোকসভায় নেপথ্য-কাহিনি শোনালেন গডকড়ি

নয়াদিল্লি, ২৩ মার্চ (হি.স.) : পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলিতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর সেতু নির্মাণের নেপথ্য-কাহিনি বর্ণনা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক দফতরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি মাজুলি সেতুর কাহিনি বর্ণনা করেন। এতে তাঁরই সতীর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের প্রশংসা করছেন তিনি।


লোকসভায় দাঁড়িয়ে নীতিন গডকড়ি বলেন, অসমের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের আর্জিতে যোরহাট-মাজুলি সংযোগ রক্ষাকারী সেতুর কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। একবার সনোয়ালের সঙ্গে হেলিকপ্টারে যাওয়ার সময় তাঁর (সনোয়াল) আবেগিক কথায় তাঁর হৃদয়ে দাগ কাটে। আর ওই সময় প্রকাশ্য জনসভায় গডকড়ি ঘোষণা করেন যোরহাট-মাজুলি সংযোগী সেতু নির্মাণ করার কথা। এভাবেই লোকসভায় মাজুলি সেতুর নেপথ্য-কাহিনি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকড়ি।


সর্বানন্দ সনোয়াল জানিয়েছিলেন, ওই সেতুর সঙ্গে মাজুলিবাসীর আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। ওই সময় তিনি সেতুর কথা একেবারেই জানতেন না। কোথায় হবে, কত টাকা ব্যয় হবে সে সব বিষয়ে তিনি একবারেই জ্ঞাত ছিলেন না। এই অবস্থায় সেতু নির্মাণ করার ঘোষণা কীভাবে করবেন, এ কথা সনোয়াল তাঁকে বলতে বলেছিলেন, আপনি শুধুমাত্র ঘোষণা করে দিন সেতুটি নিয়ে জনগণ খুবই অসন্তুষ্ট। এভাবেই সনোয়াল আবেগিক হয়ে কপ্টারে বসে আমাকে এ সব জানিয়েছিলেন, লোকসভায় বলেন গডকড়ি।


সনোয়ালের এসব কথা শুনে আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর প্রকাশ্য জনসভায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর সেতু নির্মাণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে দিয়েছিলাম। পরে নয়াদিল্লি ফিরে আসার পর বিভাগের আধিকারিকরা আমাকে বললেন, স্যার, এই সেতু নির্মাণে কত টাকা লাগতে পারে আপনি জানেন? প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। আমি রীতিমতো হতাশ হয়ে গেলাম। একটি সেতু নির্মাণে ছয় হাজার কোটি টাকা কীভাবে ব্যয় করব? কিছু ভেবে উঠতে পারছিলাম না। এর পর গোটা বিষয়টি নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়, চলল চুলচেরা বিশ্লেষণ। উঠে এল নতুন প্রযুক্তির কথা। শেষ মেষ মাজুলি সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়।


লোকসভায় দাঁড়িয়ে এভাবেই মাজুলি সেতুর নেপথ্য-কাহিনি শুনিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক বিভাগের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি বলেন, আপনারা (লোকসভার সদস্যরা) জেনে নিশ্চয়ই আনন্দিত হবেন, ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ মাজুলি সেতুর জন্য এখন ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে। হয়তো আগামী এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলিতে সেতু উদ্বোধনে করতে আমি যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *