BRAKING NEWS

শিশুদের দেহে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ, সিএমও জানালেন আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই

আগরতলা, ১৬ মার্চ (হি. স.) : ত্রিপুরায় সরকারী হাসপাতালে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর শিশুদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে, ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পরেন। জরুরি ভিত্তিতে ৬টি শিশুকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: জে ডি দারলং জানিয়েছেন, ওই শিশুরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওই ইঞ্জেকশন গতকালও তাদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত, আজকে একটি শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাতে, অন্য শিশুদের অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে, ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। ইঞ্জেকশনের নমুনা সংগ্রহ করে আগরতলায় পরীক্ষার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের এন্টি-বায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। কর্তব্যরত চিকিত্সকের বক্তব্য, ওই শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট খারাপের মতো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা করেই ওই এন্টি-বায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল। আজ সকালে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তিনি জানান, সরকারিভাবে ক্রয় করা ইঞ্জেকশন শিশুদের দেওয়া হয়েছে। তাতে, ভেজালের কোন সম্ভাবনা নেই। তবে, একটি শিশুর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখে অন্য শিশুদের অভিভাবকরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই, সাবধানতাবসত কয়েকটি শিশুকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।এদিকে, শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। ফলে, শিশুদের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাছাড়া, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক হাসপাতালে না থাকার কারণেই ওই সমস্যা দেখা দিয়েছে। জনৈক অভিভাবকের কথায়, আর্থিক দিক দুর্বল তাই, সরকারী হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য আসা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। কিন্ত, সরকারী হাসপাতালে এমন পরিষেবা রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: জে ডি দারলং বলেন, জেলা হাসপাতালে ওই শিশুরা কয়েকদিন ধরে ভর্তি রয়েছে। নিয়মমাফিক তাদের এন্টি-বায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। আজকেও তেমনি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর একটি শিশুর দেহে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওই শিশুর দেহে প্রচন্ড জ্বর রয়েছে। হয়ত, সেই কারণে শিশুটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তখন তার অভিভাবকদের চিত্কারে অন্য শিশুর অভিভাবকরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।তাঁর দাবি, সরকারিভাবে কেনা ইঞ্জেকশন সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবুও, ওই ইঞ্জেকশনের নমুনা সংগ্রহ করে আগরতলায় পরীক্ষার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। তিনি জানান, আজকের ঘটনায় ৬টি শিশুকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে, হাসপাতালে অন্য শিশুরা সুরক্ষিত আছে। পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *