আগরতলা, ১৬ মার্চ : ত্রিপুরায় শিশু কন্যা শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্তের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাতে, প্রমিলা বাহিনী ওই তিনজনের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করেছে। ধলাই জেলায় গন্ডাছড়ায় ওই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে খবর, গতকাল রাতে গন্ডাছড়া মহকুমায় দেবনাথ পাড়ায় কীর্তনের আসর থেকে ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যান রতন আচার্য্য। হটাত শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে তার ঠাকুমা এবং অন্যান্যরা খোজ শুরু করেন। পাশেই একটি জঙ্গলে শিশুটির চিত্কার শুনে তার বাবা ও স্থানীয় জনগণ ছুটে যান এবং তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু, অভিযুক্ত রতন আচার্য্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
দেবনাথ পাড়ার জনৈক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আজ সকালে রতন আচার্য্যকে এলাকায় দেখতে সকলে মিলে তাকে আটক করে বিবেকানন্দ ক্লাবে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। স্থানীয় সুত্রে খবর, পুলিশ এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দিয়েছেন।সূত্রের দাবি, শিশু কন্যা শ্লীলতাহানি মামলায় অভিযুক্ত রতন আচার্য্যকে বিবেকানন্দ ক্লাবে বেঁধে পাঁচ জনে মিলে গণ পিটুনি দিয়েছেন। তাতে, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। কিন্ত, প্রমিলা বাহিনী ওই তিনজনের মুক্তি চেয়ে থানা ঘেরাও করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রতন আচার্য্য এলাকায় ত্রাস ছিল। তিনি ইতিপূর্বে খুনের মামলায় হাজতবাস করেছে। এখন এলাকায় দাদাগিরি করে বেড়াতেন। প্রায় সময় মানুষের উপর উত্পাত করতেন। কিন্ত, শ্লীলতাহানি মামলায় অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা এবং ওই ঘটনায় ধৃতদের মুক্তির দাবিতে প্রচন্ড উত্তেজনা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ থানা ঘেরাওয়ের পাশাপাশি রাস্তা অবরোধও করেছেন। ফলে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।