হাইলাকান্দি (অসম), ৫ মার্চ (হি.স.) : আগামীকাল রবিবার ৬ মার্চ হাইলাকান্দি পুর নির্বাচন। ইভিএম বন্দি হবে ৭৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য। এবারের পুরনির্বাচনে সরাসরি লড়াই হবে বিজেপি-নির্দলের মধ্যে।
হাইলাকান্দি জেলার ১৬ আসন বিশিষ্ট হাইলাকান্দি পুরসভা এবং দশ আসন বিশিষ্ট লালা পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল রবিবার। অবশ্য গুয়াহাটি ও শিলচর বাদ দিয়ে গোটা অসমের ৮০টি পুরসভার ভোটগ্রহণ এদিন। পুরসভার এই নির্বাচনে হাইলাকান্দির ১৬টি ওয়ার্ডের জন্য ৪৩ জন এবং লালা পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডের ৩০ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি হবে এদিন। দুটি পুরসভায় মোট ৭৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৩৯,১০৯ জন ভোটার।
হাইলাকান্দির ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে শাসকদল বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ১৫টি ওয়ার্ডে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। বিরোধী কংগ্রেস দিয়েছে দুটি ওয়ার্ডে, ২ এবং ৬ নম্বরে। শাসকজোট অসম গণ পরিষদ প্রার্থী দিয়েছে একমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এআইইউডিএফ কোনও প্রার্থী প্রক্ষেপ করেনি। শাসক-বিরোধীর এই ১৮ জন প্রার্থী ছাড়া বাদবাকি সবাই নির্দলীয়। হাইলাকান্দির ১৬টি ওয়ার্ডের ৪৩ প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি করবেন ২৯,৩৬৮ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ১৪,৩৮০ ও মহিলা ভোটার ১৪,৯৮৮ জন।
অন্যদিকে, ১০ ওয়ার্ড বিশিষ্ট লালা পুরসভা নির্বাচনে এবার মোট প্রার্থী ৩০ জন। বিজেপি ১০টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে। বিরোধী কংগ্রেস একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে আর বাকি সবাই নির্দল। লালার ৩০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৯,৭৪১ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪,৭১৩ এবং মহিলা ভোটার ৫,০৩৩ জন।
এদিকে, এদিন হাইলাকান্দির যে সকল রথি-মহারথীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি হবে, এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি-র শহর মণ্ডল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মানব চক্রবর্তী, সাংসদ কৃপানাথ মালাহের প্রাক্তন প্রতিনিধি কল্যাণ গোস্বামী, পল্লবী দেবনাথ, রাজেশ মালাকার, নিতুমণি নাথ, বর্ণালী দত্ত পুরকায়স্থ, কল্যাণময় শুক্লবৈদ্য, অভিজিৎ দে, শুক্লা পুরকায়স্থ, সংহিতা দেবনাথ, দীপশিখা বিশ্বাস এবং দলের একমাত্র সংখ্যালঘু প্রার্থী জারিনা আখতার মজুমদার প্রমুখ। বিরোধী কংগ্রেস দলের যে দুজনের ভাগ্য ইভিএম বন্দি হবে তাঁরা মিতালি গোস্বামী (ভট্টাচার্য) ও প্রীতম দাস।
নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হবে পার্থকুমার নাথ, রাজু চক্রবর্তী, সাধনারানি নাথ, লাবি নাথ, শিল্পী দাস, উমা চৌধুরী, শম্পা সেনগুপ্ত, সুপর্ণা দাস, ঝর্ণা ভৌমিক, দেবানন্দ দাস, পৃথ্বীরাজ শুক্লবৈদ্য, আব্দুল আজিজ বড়ভুইয়াঁ, রতিকান্ত দাস, মণিকা দাস অন্যতম। এর মধ্যে শিল্পী দাসের স্বামী অরুণকুমার দাস, সুপর্ণা দাসের স্বামী চিন্ময় দাস, উমা চৌধুরীর স্বামী তপন চৌধুরী ও শম্পা সেনগুপ্তের স্বামী চন্দন সেনগুপ্ত ২০১৫-এর পুরবোর্ডে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এ সব ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তাঁরা প্রার্থী না হতে পেরে তাঁদের সহধর্মিণীদের ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ করে মাটি কামড়ে রয়েছেন জয় সুনিশ্চিত করতে।
তবে এবার হাইলাকান্দির ষোলোটি ওয়ার্ডেই কার্যত দু’মুখী লড়াই যে হবে, এই চিত্র মোটামুটি পরিষ্কার। সবকয়টি ওয়ার্ডেই বিজেপি বনাম নির্দলের সরাসরি লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নির্বিঘ্নে, ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হাইলাকান্দি জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।