BRAKING NEWS

সাধারণ বাজেটে প্রয়োজন অনুসারে ত্রিপুরার প্রাপ্তির তোড়জোড় শুরু প্রদেশ বিজেপির

আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি (হি. স.) : সাধারণ বাজেটে ত্রিপুরার ঝুলিতে প্রয়োজন অনুসারে প্রাপ্তির জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে প্রদেশ বিজেপি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে জরুরি বিষয় উত্থাপন করে প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি, অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ প্যানেল ত্রিপুরার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে মত বিনিময় করেছেন। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, সাধারণ বাজেটে ব্যয় বরাদ্দে ত্রিপুরা অনেকটাই উপকৃত হবে। অন্তত, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রীর আশ্বাসে এমনটাই নিশ্চিত বলে মনে করছে প্রদেশ বিজেপি নেতৃবৃন্দ।


প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দেশের সমস্ত প্রদেশের প্রয়োজনীয়তার নিরীখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যয় বরাদ্দের দাবিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেতে চলেছে। সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির তরফেও সাংগঠনিক পর্যায়ে ব্যয় বরাদ্দের দাবিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে।


তাঁর কথায়, ত্রিপুরা থেকেও গত ১৬ জানুয়ারি রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। ওইদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ওয়েবীনারে ত্রিপুরার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেছেন। ওই আলোচনায় দিল্লী থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা, মুখপাত্র গোপাল কৃষ্ণ আগরওয়াল এবং অরুণ সিং অংশ নেন।


তাঁর দাবি, ওই আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। যদিও ওই বৈঠকের আগেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহার পৌরহিত্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে ত্রিপুরার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। নবেন্দু বাবু জানান, ত্রিপুরার তরফে আলোচনায় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন ড. কিরণ শঙ্কর চক্রবর্তী, ডঃ সুজিত দেব, ড. পুনম মুখার্জি এবং ড. সায়ন সাহা। তাঁদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।


তাঁর দাবি, ত্রিপুরার তরফে উত্থাপিত বিষয়সমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে কর্মসংস্থান, পরিকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটন এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়। ত্রিপুরার তরফে প্রস্তাব করা হয়েছে, রাবারভিত্তিক শিল্প স্থাপনের যাবতীয় ক্ষেত্রগুলির যাতে খতিয়ে দেখা হয়। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্র আরো প্রশস্থ করা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে তবে সড়ক যোগাযোগ, আমদানি ও রপ্তানি বানিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত সম্প্রসারণ, ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, ঐতিহাসিক ক্ষেত্র এবং তীর্থস্থানগুলির বিষয়কে সামনে রেখে পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাগুলিও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে এইমসের ন্যায় সর্বসুবিধাযুক্ত হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পর্যটনের সম্ভাবনাও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকাশে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ থেকেও সাধারন জনগণ এই রাজ্যে এসে পরিষেবা নিতেই অধিক পছন্দ করবেন। প্রবীন নাগরিকদের ব্যাংঙ্কের সুদের হার বাড়ানো, তাদের সঞ্চিত অর্থের উপর বিশেষ করে এম.আইএস-এর অধিক অংকের সুদ দেবার প্রস্তাব করা হয়েছে, সাথে তিনি যোগ করেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আশ্বাস দিয়েছেন তিনি সব কটি রাজ্য থেকে আসা প্রস্তাবসমূহ খতিয়ে দেখবেন এবং জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ব্যয় বরাদ্দের দাবিতে সম্মলিত করার প্রয়াস নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *