আগরতলা, ৪ জানুয়ারি (হি. স.) : বিমান পরিকাঠামোয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অভূতপূর্ব উত্থান হয়েছে। ৭০ বছরে যা হয়নি, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিমান বন্দর ও হেলিপ্যাড পূর্বোত্তরে নির্মিত হয়েছে। আজ আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এমবিবি বিমান বন্দরের নব নির্মিত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ওই জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, আজকের ঐতিহাসিক জনসমাগম তিনটি উপহার প্রাপ্তির খুশি ব্যক্ত করছে। ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশে আছেন।
এদিন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ৭০ বছরে পূর্বোত্তরে মাত্র ছয়টি বিমান বন্দর ছিল। সেই জায়গায় গত সাত বছরে বিমান বন্দরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ এবং হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে ১৭টি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন সারা দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সালের পূর্বে দেশে ৭৪টি বিমান বন্দর ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪০টি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ত্রিপুরায় এমবিবি বিমান বন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন রাজ্যের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর কথায়, আজকের দিনটি ত্রিপুরাবাসীর জন্য উত্সবের থেকে কোন অংশে কম নয়। সাথে তিনি যোগ করেন, এই রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি যার সাথে গুরুদেব রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সংযোগ রয়েছে এখন এই সমগ্র অঞ্চলকে নিবিড়ভাবে যুক্ত করেছে। তাঁর দাবি, নতুন টার্মিনাল ভবনে অতিরিক্ত সুবিধাগুলি মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য দেব্বর্মনের কল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে।
এদিন তিনি ভোকাল ফর লোকালের জন্য সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, স্থানীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌছে দিতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কৃষি উড়ান স্কিমের অধীনে আনারস, কাঠাল ত্রিপুরা থেকে বিদেশের বাজারে পৌছে দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি, নতুন বিমান বন্দর অত্যাধুনিক সুবিধার সাহায্যে রাজ্যের যোগাযোগ ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে, দাবি করেন তিনি।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজকের ঐতিহাসিক জনসমাগম তিনটি উপহার প্রাপ্তির খুশির বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সকাল ছয়টা থেকে দূর দুরান্তের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনতে বাড়ি বের হয়েছেন। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজকের ত্রিপুরা স্বাভিমানী এবং আত্মনির্ভর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে