BRAKING NEWS

ত্রিপুরার রাজারা জনজাতিদের উন্নয়ন করেননি : অঘোর দেব্বর্মা

খোয়াই, ২ জানুয়ারি ।। ত্রিপুরার রাজারা জনজাতিদের উন্নয়ন করেননি। তাঁরা ককবরক ভাষার উন্নতি দুরে থাক, ওই ভাষায় কথাই বলতেন না। অথচ তিপরা মথার জন্য প্রদ্যুত কিশোরের পেছনে যাঁরা ছুটছেন তাঁরা বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। ৭৭তম জনশিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে খোয়াইতে আয়োজিত জমায়েতে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অঘোর দেব্বর্মা এভাবেই রাজন্য শাসন এবং প্রদ্যুত কিশোর দেব্বর্মনকে বিধেছেন।

এদিন তিনি বলেন, রাজন্য শাসিত ত্রিপুরায় ১৮৪জন রাজা সাড়ে তেরশো বছর রাজত্ব করেছেন। তাঁরা জনজাতি ছিলেন। তবুও রাজন্য শাসনে জনজাতিদের উন্নয়ন হয়নি। তাঁর দাবি, জনজাতিদের শিক্ষার সুযোগ ছিল না। ভাষার বিকাশ হয় নি। রোজগারের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছুর অভাব ছিল তাঁদের। তাঁর আরও দাবি, তখন পানীয় জলের পরিষেবাও ছিল না। বিকাশ ঘটেনি কৃষি এবং শিল্পেরও।


তাঁর কটাক্ষ, আজ তিপরা মথার জন্য প্রদ্যুত কিশোরের পেছনে যাঁরা ছুটছেন তারা বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। তাঁর কথায়, রাজন্য আমলের জনজাতিদের দুর্দশার কাহিনী আজ ছাত্র যুব সহ বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তিনি জোর গলায় বলেন, রাজতন্ত্র জনজাতিদের চরম সর্বনাশ করে গেছে। অথচ আজ প্রদ্যোৎ কিশোর জনজাতিদের জন্য মায়াকান্নায় বুক ভাসিয়ে দিয়ে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের স্বপ্ন ফেরী করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করুন, প্রদ্যুত কিশোরের পূর্বপুরুষ জনজাতিদের জন্য কি কাজ করে গেছেন, প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।


অঘোর দেববর্মা বিদ্রুপের সুরে বলেন, আইপিএফটি ডাক দিয়েছিল তিপ্রাল্যান্ড। তিপরা মথা আওয়াজ তুলেছে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। এসব আসলে জনজাতিদের স্বার্থরক্ষা তাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। নিজেদের আখের গোছানোই মূল উদ্দেশ্য তাঁদের। মানুষকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাইছেন তাঁরা। তিনি জানতে চেয়েছেন, তিপ্রাল্যান্ড তাঁদের উদ্দেশ্য হলে ছেচল্লিশ মাসে কেন বিধানসভায় আইন পাশ হল না। কেন মন্ত্রিসভায় এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না।


তিনি দাবি করেন, বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় জনজাতিদের প্রকৃত উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। গঠন হয়েছিল এডিসি। উপজাতি এলাকায় ঘটেছিল সার্বিক বিকাশ। স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষি এবং শিক্ষার বিকাশ ঘটেছিল। অঘোর দেববর্মা বলেন, জনশিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল শিক্ষার জন্য। রাজন্য আমলে শিক্ষার বিস্তার হলে জনশিক্ষা আন্দোলনের দরকার হতো না। তিনি জানতে চান, আজ যখন শিক্ষার বেসরকারীকরণের কর্মসূচী নেয় বি জে পি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার, তখন চুপ কেন আইপিএফটি কিংবা তিপ্রা মথা। তাই, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *