মান্ডি, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.): অত্যন্ত সংবেদনশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে নাগরিকদের সমস্ত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে সরকার। জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে দু’টি পৃথক ধরনের মডেল কাজ করছে। একটি মডেল হল-সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রচেষ্টা। অপর মডেলটি হল-নিজের স্বার্থ, পরিবারের স্বার্থ এবং উন্নয়নও যেন শুধুমাত্র নিজের পরিবারের হয়। সোমবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে ১১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতকে বর্তমানে বিশ্বের ফার্মেসি বলা হয়, নেপথ্যে রয়েছে হিমাচলের বিশাল শক্তি। করোনা বৈশ্বিক মহামারী চলাকালীন হিমাচল প্রদেশ শুধু অন্যান্য রাজ্যকেই নয়, অন্যান্য দেশকেও সাহায্য করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “প্রতিটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাধারা থাকলেও বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ দু’টি মতাদর্শ স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন। একটি আদর্শ বিলম্বের এবং অন্যটি উন্নয়নের। বিলম্বকারীরা কখনই পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের কথা চিন্তা করেনি। অত্যন্ত সংবেদনশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে নাগরিকদের সমস্ত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে সরকার। এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদেরও ৩ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে।” মান্ডিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “হিমাচলের সঙ্গে আমার সর্বদাই আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। হিমাচলের ভূমি আমার জীবনের দিকনির্দেশনা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হিমাচলে ৪ বছর পূর্ণ করেছে। আমি হিমাচলের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই ৪ বছরের মধ্যে দুই বছর আমরা করোনার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই করেছি, উন্নয়নের কাজও থামতে দিইনি।”
প্রধানমন্ত্ৰীর কথায়, “গত চার বছরে হিমাচল প্রথম এইমস পেয়েছে, হামিরপুর, মান্ডি, চাম্বা এবং সিরমাউরে চারটি নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদন করা হয়েছে। আজই ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের চারটি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, কিছু প্রকল্প উদ্বোধনও করা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শ্রী রেণুকা জি আমাদের আস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ভগবান পরশুরাম এবং তাঁর মা রেণুকাজির স্নেহের প্রতীক এই ভূমি থেকে আজ দেশের উন্নয়নের জন্য একটি স্রোত বেরিয়েছে।”