মুম্বই, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স) : জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন। অজিত পাওয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।সোমবার বিধানসভায় সংখ্যালঘু মন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, আকোলা জেলার বাসিন্দা ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজ রায়পুরের ধর্ম সংসদে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে একটি বিতর্কিত বক্তব্য করেছেন। এটি মহারাষ্ট্রের নাগরিকদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাই কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরপরে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেন, কালীচরণ যে ভাষায় মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করেছেন তা কোনভাবে সহ্য করা যায় না। তাই কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি হল সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। কালীচরণ মহারাজের বক্তব্যে যদি রাজ্যের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তাহলে বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার রায়পুরের রাবণভাটা মাঠে কালীচরণ মহারাজের ধর্ম সংসদ ছিল। সেখানেই ধর্মগুরু বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীকে খুন করার জন্য আমি নাথুরাম গডসেকে কুর্নিশ জানাই।’ রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র প্রমোদ দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে টিকরাপাড়া থানায় কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছে। প্রকাশ্য সভা থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করে ঘৃণার উদ্রেক করায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ও ২৯৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে স্বঘোষিত ‘গডম্যান’কে।