BRAKING NEWS

সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাবু

পানাজি, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.): যোগদানের তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাবু মামলেডর । লাবুর অভিযোগ, গোয়ায় তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতার পথে হাঁটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সেখানকার হিন্দু এবং খ্রিস্টান বাসিন্দাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলেও দাবি করেন লাবু। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে শুক্রবার তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন তিনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘গোয়া এবং গোয়াবাসীর জীবনে উজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনার আশা নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, তৃণমূল গোয়া এবং গোয়াবাসীকে বুঝতে পারেনি।’


এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নেন পোন্ডার প্রাক্তন বিধায়ক লাবু। দলনেত্রী মমতাকে চিঠি লিখে শুক্রবার তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন তিনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘গোয়া এবং গোয়াবাসীর জীবনে উজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনার আশা নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, তৃণমূল গোয়া এবং গোয়াবাসীকে বুঝতে পারেনি।’’

বাংলায় বিপুর সাফল্যের পর গোয়াতেও তৃণমূলের শিকড় বিস্তারের কাজ সামলাচ্ছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক । তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন লাবু।মমতাকে লেখেন, ‘আপনি যে সংস্থাকে নিয়োগ করেছেন, গোয়া গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য জোগাড় করছে তারা। কারণ গোয়া সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই তাদের কাছে।’
সম্প্রতি গোয়ায় মাহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্রক পার্টি-র হাত ধরেছে তৃণমূল। তাদের এই পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক বলে অভিযোগ লাবুর। তাঁর কথায়, ‘হিন্দু ভোটকে এমজিপি-র দিকে ঘোরাতে চাইছে তৃণমূল। নিজেরা ঘরে তুলতে চাইছে ক্রিস্টান ভোট। দলের এহেন অবস্থান সাম্প্রদায়িক। যে দল গোয়াবাসীর মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চায়, তার সঙ্গে থাকতে চাই না আমরা। তৃণমূল এবং তাদের হয়ে কাজ করছে যে সংস্থা, তাদের গোয়ার ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট করতে দেব না।’

তবে লাবু এমজিপি-র বিরোধিতা করলেও, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে ওই দলেরই সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ওই দলেরই বিধায়ক ছিলেন। সেখান থেকেই নিজের সমর্থকদের নিয়ে তৃমমূলে যোগ দেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে মাডকাইম থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ছিল তাঁর। শুক্রবার লাবুর ইস্তফা প্রসঙ্গে সাংসদ ফেলেইরো বলেন, ‘‘দল গোয়ায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চলছে। সেই লক্ষ্যেই অবিচল থাকবে। কোনও ব্যক্তির সিদ্ধান্ত তাতে প্রভাব ফেলবে না।’’ তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । তার জন্য জোরকদমে গোয়ায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল । কিন্তু সেই প্রস্তুতির শুরুতেই হোঁচট খেল বাংলার শাসক দল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *