কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : রাজ্যের ১১১টি পুরসভা এবং পুরনিগমের ভোট আসন্ন। প্রার্থী অর্থাৎ দলের টিকিট না পেয়ে অনেকে বিদ্রোহ করতে পারেন। তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষমতা জাহিরের জন্য কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে কেউ ভোটে জিতেছেন, আবার কেউ হেরেছেন। ভোটের ফল প্রকাশের পরই প্রত্যেকে হত্যে দিচ্ছেন ফের তৃণমূলে ফিরতে। বৃহস্পতিবার দলনেত্রী তাঁদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন। জানিয়ে দিলেন, গেম ইজ নট দ্যাট ইজি। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা পরাজিত হয়েছেন তাদের সঙ্গে আমি থাকব। কেউ যদি মনে করে বিপদে ফেলে অন্য কাউকে জিতিয়ে দিয়ে পরে আবার ঢুকে যাব, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্রের খবর, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাদধ্যায়েরর বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় টিকিট না পেয়ে পুরভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। যা নিয়ে যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ মমতা। জানা যাচ্ছে, তনিমা ভোটের ফল প্রকাশের পরই দেবাশিস কুমারের বাড়িতে বেশ কয়েকবার দরবার করেছেন তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে। সে খবর নেত্রীর কানেও পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার মমতা জানিয়ে দেন, কাউকেই তিনি এখন ফেরাবেন না।
প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তনিমা চট্টোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন। কিন্তু তিন বিক্ষুব্ধ নেত্রী এবারের ভোটে নির্দল হিসেবে জিতে গিয়েছেন। তাঁরা হলেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়েশা কনিজ, ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে রুবিনা নাজ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্বাশা নস্কর। পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েই এই তিনজন অবশ্য তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এমনিকি সরাসরি যোগাযোগও শুরু করেছিলেন তিন জয়ী কাউন্সিলর।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, নির্দল প্রার্থী, যাঁর কাছে হেরেছে তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের সম্পর্ক আগে ছিল। তাঁরা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু আমি চাই না যাঁরা স্বতন্ত্রভাবে জিতেছে তাঁরা দলে আসুক। তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, আগেই দলের শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বাভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই কড়া বার্তা দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বকে। এখনই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতাকে দলে নেওয়া যাবে না। অভিষেক কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের অনুমোদিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ‘দলবিরোধী’ কাজ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের দলে নিলে সর্বস্তরের কর্মী মহলে ভুল বার্তা যাবে।