পেগাসাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের

কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স.) : পেগাসাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। টুইটারে রাজ্যাল লিখেছেন, গত ২১ জুলাই পেগাসাস নিয়ে তদন্ত কমিশনের বিজ্ঞপ্তির নথিপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছেন রাাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সংবিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে এটা আহ্বান করতে বাধ্য হচ্ছি। এদিনের চিঠির সঙ্গে গত ১৬ ডিসেম্বর লেখা দু’পাতার চিঠিও রাজ্যপাল যুক্ত করে দিয়েছেন।

সোমবার রাজ্যপাল চিঠিতে লেখেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, গত ২১ জুলাই পেগাসাস তদন্ত কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য সমস্ত সংযুক্ত কার্যপ্রণালী এবং নথি খোঁজার জন্য আমি সংবিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদ আহ্বান করতে বাধ্য হচ্ছি। মুখ্যসচিব দুর্ভাগ্যবশত এই ধরনের তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এটি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এটি গত ২১ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত এবং শেষ অনুচ্ছেদ থেকে উদ্ভূত। ১৯৫২ সালের কমিশন অফ ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-এর ধারা ৫ এর বিধানগুলি এর কার্যধারার জন্য প্রযোজ্য হয়েছে। পেগাসাসের তদন্ত কমিশন, ‘রাজ্যপালের মতামত’-এর উপর ভিত্তি করে গঠিত।

এটি উল্লেখযোগ্য যে গত ২১ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে আপনার পক্ষ থেকে আমার অফিসে এই গণনায় কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এমতাবস্থায়, আমার স্পষ্টতই কোনও মতামত নেই। এই পরিস্থিতিতে অনুগ্রহ করে শীঘ্রই পুরো রেকর্ডটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার ব্যবস্থা নিন। সুনির্দিষ্টভাবে এবং সূক্ষ্মভাবে রাজ্যপালের মতামতের মান্যতা দিন।“ পেগাসাস-কাণ্ডে গড়ে ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে গত জুলাই মাসে রাজ্য এই তদন্ত কমিশন গড়লেও আদৌ কোনও রহস্যভেদ করা যাবে কি না, তা নিয়ে গোড়াতেই সংশয় প্রকাশ করেন আইনজ্ঞরা। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গাপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রবীণ আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, ওই বিষয়ে কমিশন গঠন করার এক্তিয়ারই নেই রাজ্য সরকারের। বস্তুত, কোনও রাজ্যেরই নেই। কারণ, বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে ঘটেছে। রাজ্যের এক প্রবীণ আইনজীবীর কথায়, ‘’কলকাতা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে কেউ আবেদন করলে এই কমিশন খারিজ হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’’