তিরুবনন্তপুরম, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স) : কেরলের আলাপ্পুঝা জেলায় রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটে। রবিবার ভোরে দুস্কৃতিদের হাতে খুন হলেন বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসন। তিনি কেরল ওবিসি মোর্চা-র রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। আলাপ্পুঝা জেলার হিন্দুদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিজেপির জনপ্রিয় নেতা শ্রীনিবাসকে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং এর মূল সংগঠন এসডিপিআই (দুটি ইসলামিক চরমপন্থী সংগঠন) -র চরমপন্থীদের হাতে হত্যা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার বাড়িতে গেট ভেঙে ছুরি করে ও তাকে আক্রমণ করেছিল। তিনি প্রাতকালীন হাঁটতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যায় এসডিপিআই-র এক নেতা কে এস শানকে আলাপ্পুঝা শহরতলিতে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী লোকেরা আটকে রেখেছিল এবং মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণও করা হয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও মধ্যরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই এসডিপিআই নেতা। আলাপ্পুঝা পুলিশের মতে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে থাকা ব্যক্তিদের ধরতে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার ১২ ঘন্টার ব্যবধানে এই জোড়া খুনের ঘটনার পর আলাপ্পুঝা জেলাকে একটি নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে এবং পুলিশের টহলদারি শুরু করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জোড়া হত্যার নিন্দা করে বলেন, হিংসার ঘটনার সম্ভাবনা বিবেচনা করে আগামী দুদিনে রবিবার ও সোমবার জেলায় জেলায় সমস্ত ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত এক মাসে কেরলে এটি দ্বিতীয় কোনো হিন্দু নেতাকে হত্যা করার ঘটনা ঘটল। কেরলের পালাক্কাদু জেলার শীর্ষ আরএসএস নেতা সেনজিথের গত ১৫ নভেম্বর হত্যার পিছনে থাকা ব্যক্তিদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সেনজিথের হত্যার পেছনে এসডিপিআই /পিএফআই-র কর্মীদের হাত ছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রাজ্যজুড়ে একের পর এক অভিযান চালিয়ে কেরলের এসডিপিআই /পিএফআই নেতাদের এবং ব্যবসায়িক এলাকা থেকে সম্পত্তির নথি বাজেয়াপ্ত করেছে।