BRAKING NEWS

Theft : উমাকান্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে স্যার দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর। রাজধানীর অন্যতম বনেদি স্কুল উমাকান্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে স্যার দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে চুরির ঘটনাটি নজরে আসে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন গত দু’মাসে স্কুলে ছয়বার চুরির ঘটনা ঘটেছে।পরপর এসব চুরির ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবক মহল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ সহ অন্যান্য জরুরী কাজে সকালবেলা তিনি স্কুলে আসেন।স্কুলে এসেই লক্ষ করেন প্রধান শিক্ষকের পক্ষে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে।

চুরি করে দিয়ে যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সিপিইউ সহ অন্যান্য সামগ্রী। চুরির ঘটনার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তবে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার এর কোন খবর নেই।প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত গত দু’মাসে ছয়বার চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এইসব চুরির ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি।পুলিশ এসব ব্যাপারে সদর্থক কোন ভূমিকা নিতে না পারায় অভিভাবক মহল থেকেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী আগরতলা শহরের নিরাপত্তা বলয় এর মধ্যেই স্কুলে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান বিদ্যালয়টি চারদিক অসুরক্ষিত। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে না।স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য স্থানীয় জনগণ এবং অভিভাবক মহল থেকে দাবি জানানো হয়েছে।


এদিকে আমতলী থানা এলাকার সেকেরকোট বাজারে একটি মোবাইল ফোন বিক্রয় কেন্দ্রে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের মালিকের নাম গোপাল দাস।রাতে দোকানের দরজার তালা ভেঙে চোর ভিতরে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে।সকালবেলা স্থানীয় জনগণ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরা মোবাইল বিক্রয় কেন্দ্রের তালা ভাঙ্গা ও দরজা খোলা অবস্থায় দেখে দোকান মালিক খবর দেন। দোকান মালিক গোপাল দাস এসে লক্ষ্য করেন দোকানের ভিতরে সবকিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে গেছে চোরের দল। দোকান মালিক আরো জানান এর আগেও তার দোকানে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরপর চুরির ঘটনায় তিনি রীতিমতো নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আমতলী থানার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তবে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার কিংবা চোর আটক করার কোনো খবর নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বাজারে বর্তমানে পাহারাদারের কোন ব্যবস্থা নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চোরের দল প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করে চলেছে।সেকের কোট বাজারে রাত্রিকালীন পুলিশি টহল এর ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবসায়ী মহল থেকে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *