BRAKING NEWS

Pineapple : জার্মানীর হামবার্গে যাচ্ছে ত্রিপুরার টিনজাত আনারস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ডিসেম্বর৷৷ গতানুগতিক ফলনের পাশাপাশি অর্থকরি ও অন্যান্য ফল বা ফসল উৎপাদনের সঙ্গে মূল্য যুক্ত হলে কৃষিক্ষেত্রে উপার্জন আরও বৃদ্ধি পায়৷ আনারস সহ অন্যান্য কৃষিজ পণ্য উদ্ভাবনী পন্থায় উৎপাদনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার নয়া দিশা উন্মোচিত হয়েছে রাজ্যে৷ আজ কুমারঘাট থেকে জার্মানিতে টিনজাত আনারস রপ্তানির সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ আজ কুমারঘাট ইণ্ডাষ্ট্রিয়াল এস্টেট কমপ্লে’ থেকে ৪০ মেট্রিক টন প্রক্রিয়াজাত আনারস জার্মানীর হামবার্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে৷ সবুজ পতাকা নেড়ে দুটি কন্টেইনারের যাত্রা সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ৷ মুখ্যমন্ত্রী কুমারঘাট ইণ্ডাষ্ট্রিয়াল এস্টেট এর বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং আনারস উৎপাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন৷ নালকাটার রামী ডার্লং এর আনারস বাগানটি পরিদর্শন করেন তিনি৷ তার আগে পাবিয়াছড়া বাজারে হরিনাম সংকীর্তন উৎসবে উপস্থিত হন৷


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, জলপথকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের সুুযোগ সম্পসারণ ও পরিবহণ খরচ লাঘবের লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ পরিবহণ ব্যয় সংকোচিত করা গেলে উৎপাদকরা লাভের মুখ দেখবেন৷ রাজ্যের উৎপাদিত সামগ্রী প্রথমে সড়ক পথ তারপর জলপথে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানী করতে অনেকটা সময় এবং অর্থ ব্যয় হয়৷ সেই জন্য জলপথের মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জল বন্দরের সাথে যোগাযোগের সুুযোগ তৈরীর লক্ষ্যে পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে৷ সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে নায্যমূল্যের অনিশ্চয়তা ও নানাবিধ কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলা উদ্যোগীরা বর্তমানে নয়া উদ্যমে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন৷ সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে আনারস সহ অন্যান্য ক’ষিজ উৎপাদিত পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি বেড়েছে লাভের পরিমাণ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা স্বনির্ভর রাজ্য গঠনের পথকে সমৃণ করে৷ আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ভাবনায় রোজগারের নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে রাজ্যে৷ বিশেষ করে ক’ষি ও প্রাথমিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার৷


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মহিলাদের সার্বিক বিকাশ ব্যাতিত রাজ্যের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সম্ভব নয়৷ মহিলা স্বশক্তিকরণ এবং ক্ষমতায়ণের লক্ষ্যে গুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে মহিলা স্ব-সহায়ক দলগুলি৷ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে স্ব-সহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া মহিলাদের সংখ্যা৷ সহজ শর্তে ঋণ প্রদান সহ সুুদের হার হাস করার মাধ্যমে মহিলাদের উৎসাহ বাড়ানোর প্রয়াস নেওয়া হয়েছে৷ তার পাশাপাশি স্ব-সহায়ক দলগুলির উৎপাদিত পণ্য নায্যমূল্যের দোকানে বিপণনের সুুযোগ করা হয়েছে৷ অনলাইন আবেদন সহ প্রতি মাসের তৃতীয় শনিবার স্বনির্ভর ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান, সুুযোগ সম্পসারণ ও প্রতিটি মহিলার রোজগার সুুনিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ যার ফলশ্রতিতে আত্মনির্ভর মহিলারা একদিকে যেমন রোজগারের দিশা খঁজে পেয়েছেন, তেমনি বৃদ্ধিপাচ্ছে সামাজিক অংশীদায়িত্ব৷


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল বলেন, এক সময়ে রাজ্যে আনারস উৎপাদকরা সঠিক মূল্য পেতেন না৷ কিন্তু বর্তমানে সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে রাজ্যের বাইরেও এর কদর বাড়ছে৷ এর ফলে একদিকে উৎপাদকরা যেমন উৎসাহিত হচ্ছেন তেমনি লাভের মুখও দেখছেন তারা৷ আগামী দিনে এই ক্ষেত্রের বিকাশ এবং বিভিন্ন সুুযোগ ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, বিধায়ক শুধাংশু দাস, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দ দাস, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুুপার ও অন্যান্য অতিথিগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *