কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর (হি. স.) : রবিবার পুরভোট। তার আগে ভোটে যাতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র খামতি, ঘাটতি না থাকে তার জন্য এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৈঠক সেরে নিল রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের সিপি-র সঙ্গে।
কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতার পুরনির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশের মাধ্যমেই দেখভাল করতে পারে। তবে যদি কোথাও কোনও গন্ডগোল হয় তাহলে তার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি আর কলকাতা পুলিশের সিপি-ই দায়ী থাকবেন। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতা পুলিশের সিপি সোমেন মিত্র। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে কমিশনের তরফে দুই পুলিশ আধিকারিককেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম ঘাটতি বা খামতি না রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বলা হয়েছে আগামিকাল ঘন্টায় ঘন্টায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা দিতে।
আদালতের নির্দেশে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভোটে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার চেষ্টায় ‘ওয়েব কাস্টিং’ হবে। সিসিটিভি-র মাধ্যমে আঞ্চলিক নির্বাচন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে বিভিন্ন বুথের। এই সঙ্গে, জানা গিয়েছে শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার রাখতে রবিবার কলকাতায় ২৩ হাজার পুলিশ নামানো হবে। থাকবে কমব্যাট ফোর্স, কমান্ডো বাহিনী থেকে র্যাফও। এই নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই একাধিক অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। তার মধ্যে ভোটে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধে থেকেই সব বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি ১৪৪ ধারা। রবিবার সকালে বন্ধ থাকবে বড় বড় দোকান, শপিং মল এবং বেসরকারি অফিস। কোনও ধরনের জমায়েত হলেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করবে পুলিশ। শহরে নির্মীয়মাণ বাড়ি, কমিউনিটি হল ও লজগুলিতে কড়া নজরদারি চালাবে পুলিশ। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাইক অভিযান। বেআইনি অস্ত্র ও মদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও সীমান্ত সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।