আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর : শিক্ষায় বেসরকারিকরণের কোন সম্ভাবনা নেই, ত্রিপুরা সরকারের একাধিকবার স্পষ্টিকরণ দেওয়া সত্ত্বেও এবার ময়দানে নেমেছেন বিজেপির দলত্যাগী বিধায়ক আশীষ দাস। তিনি রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারীকরণের অভিযোগ এনে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দাগলেন বিধায়ক আশিস দাস। ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে রাজ্য জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বুধবার বিধায়ক আশিস দাস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লেখা এক চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বিধায়ক আশীষ কুমার দাস জানতে চেয়েছেন, শিক্ষা বেসরকারিকরণ হলে ছাত্র-ছাত্রী কি বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে? দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন সংস্থা যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মূল্য ধার্য করে তাহলে গরীব দিন মজুর, রিক্সাচালকের এবং শ্রমিকের সন্তান কি সেই শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে? সাথে তিনি আরো জানতে চেয়েছেন, বর্তমানে যারা সহকারী শিক্ষক আছেন তাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা রয়েছে কি। শিক্ষায় বেসরকারীকরণ হলে সেসব বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক টেট পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে কি।
তবে, বিধায়ক আশীষ দাসের সমস্ত প্রশ্নের জবাব ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রী সবিস্তারে জানিয়েছেন। একাধিকবার বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শাসক দল বিজেপির যুব মোর্চা এবং গেজেটেড অফিসার্স সংঘও এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্ত, এখনো বিষয়টি নিয়ে ময়দান গরম করা হচ্ছে।