কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর (হি. স.) : পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা মামলা সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার পর কলকাতা হাই কোর্টে নতুন করে মামলা করল বিজেপি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানি হবে।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। বিজেপি-র বক্তব্য, কলকাতা পুরভোট স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়া উপায় নেই। পাশাপাশি বিজেপি-র দাবি, রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের আস্থা নেই। এই মর্মে রাজ্য বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ অবসরকালীন বেঞ্চে আবেদন জানায়। গত সোমবার সেই আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেন এবং আবেদনকারীকে নির্দেশ দেন, কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করতে।
সুপ্রিম কোর্টের ফেরানো মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের কী মতামত রয়েছে, তা জানাতে সময় লাগবে। তিনি বুধবার সকালে এই মামলার শুনানির আর্জি জানান। এর পরই বিচারপতি মান্থা ওই কথা বলেন। মঙ্গলবার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ত্রিপুরা পুরভোটের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘‘ত্রিপুরাতেও পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।’’ তাঁর সওয়াল, ‘‘ত্রিপুরার ক্ষেত্রে সেখানকার রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজেই চেয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়নি। উল্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে যথেষ্ট তৎপর। পুলিশও তৎপর রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, বিজেপি-র আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, তাদের চার জন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেশ করতে বাঁধা দিয়েছে তৃণমূল। অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, চার জনকে প্রার্থী হতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করছে বিজেপি। পুলিশকে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি, এটার কোনও প্রমাণ কি বিজেপি দিতে পেরেছে?