আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণ অন্যতম অস্ত্র, তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। তাতে, ত্রিপুরা দেশের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। অন্তত, টিকাকরণের প্রাপ্ত রিপোর্টে এমনটাই মনে হচ্ছে। করোনার টিকাকরণে যোগ্যদের মধ্যে অধিকাংশরাই টিকার দুইটি দোজ নিয়েছেন।
ত্রিপুরায় মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ছাব্বিশ লক্ষ নাগরিক করোনার টিকা নেওয়ার জন্য যোগ্য। কারণ, মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩.৯৫ লক্ষ নাগরিক ০-১৮ বছরের মধ্যে রয়েছে, তাঁদের টিকাকরণ এখনো শুরু হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ১৬.৩ লক্ষ, তাঁরা করোনার টিকার নেওয়ার জন্য যোগ্য। তাছাড়া, ৪৫ এবং তার উর্দ্ধ রয়েছেন প্রায় ৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮০৪ জন, তাঁদেরকেও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে জনসংখ্যার নিরিখে টিকাকরণে যোগ্য পাঁচ লক্ষাধিক ত্রিপুরার নাগরিকের করোনার টিকার উভয় ডোজ দেওয়া বাকি রয়েছে।
করোনার টিকাকরণ সংক্রান্ত মিডিয়া বুলেটিনে জানা গেছে, ত্রিপুরায় করোনার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৪৬,৪০,০৪৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে, ২৫,৬১,৭২৭ জনকে প্রথম ডোজ এবং ২০,৭৮,৩২০ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। বর্তমানে ত্রিপুরায় ৫,১১,৯৩০ করোনার টিকার ডোজ মজুত রয়েছে।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায় করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার ত্রিপুরা সরকার বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে টিকাকরণ সম্পন্ন করেছে। সেই সুবাদে ত্রিপুরার নাগরিকদের বিরাট অংশের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। টিকাকরণে জেলাভিত্তিক হিসেবে দেখা গেছে, ধলাই জেলায় ৪,৭৩,৯৯৪টি ডোজ, গোমতি জেলায় ৬,৬৭,৩৬৬টি ডোজ, খোয়াই জেলায় ৩,৫৬,৯২৪টি ডোজ, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫,২৭,৩৮৮টি ডোজ, সিপাহীজলা জেলায় ৬,০৯,৫০২টি ডোজ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৫,৬৮,৬৩৯টি ডোজ, ঊনকোটি জেলায় ৩,১০,০৩৪টি ডোজ এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সবচেয়ে বেশি ১২,২৬,২০০টি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার একদিনে ৭৪৮ জনকে টিকাকরণ হয়েছে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ত্রিপুরা করোনার টিকাকরণে ১০০ শতাংশের মাইল ফলকে পৌছে যাবে।