গুরগাঁও, ১১ ডিসেম্বর (হি. স.) : প্রার্থনার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু অন্য কারও অধিকার হরণ করে নয়।হরিয়ানায় প্রকাশ্য রাস্তায় শুক্রবারের নমাজপাঠ নিষিদ্ধ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর । হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রকাশ্যে নমাজপাঠ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি জানিয়ে দেন, নমাজের জন্য একাধিক স্থান বরাদ্দ করেছিল প্রশাসন। সেগুলির অনুমোদন প্রত্যাহার করা হল। এই বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার প্রকাশ্য রাস্তায় নমাজপাঠ নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে গুরগাঁওয়ে। সংখ্যালঘুদের জন্য নমাজের কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিল প্রশাসন। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে আপত্তি জানাতে থাকে বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই অবস্থায় সাংবাদিকদের খট্টর বলেন,”গুরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে নমাজপাঠ বরদাস্ত করা হবে না। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে একটা সুষ্ঠু সমাধান করব। প্রার্থনার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু অন্য কারও অধিকার হরণ করে নয়।”
বেশ কয়েকটি জায়গায় নমাজ পাঠের অনুমোদন প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”পুলিশ ও ডেপুটি কমিশনারকে বিবাদের মীমাংসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নমাজ পড়তে চাইলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রার্থনার জন্য ধর্মীয়স্থান রয়েছে। সেখানে গিয়ে মানুষ প্রার্থনা করতে পারেন। কিন্তু খোলা জায়গায় এসব করা যাবে না।”
গত কয়েক মাস ধরে শুক্রবার রাস্তায় নমাজপাঠ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানও দেন সংগঠনের সদস্যরা। স্থানীয়রা আপত্তি করেন, শুক্রবার বাইরে থেকে লোক আসছে। তাতে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে গুরগাঁওয়ে মুসলিমদের নমাজের জন্য ৩৭টি জায়গা চিহ্নিত করে দেয় প্রশাসন। কয়েক মাস আগে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে। কমবেশি সবক’টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদীরা। তার জেরে অনুমোদন সাময়িক প্রত্যাহার করে প্রশাসন।