BRAKING NEWS

Fortune : ভাগ্যের চাকা ঘুরে না নুনাছড়া ভিলেজের হামপাইলা এলাকার রিয়াং জনজাতিদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ডিসেম্বর।। ভোট আছে ভোট যায় ভাগ্যের চাকা ঘুরে না নুনাছড়া ভিলেজের হামপাইলা এলাকার রিয়াং জনজাতিদের। তাদের ভাগ্য যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের নুনাছড়া ভিলেজের হামপাইলাএলাকার জনগোষ্ঠী আজ‌ও বঞ্চিত। তাদের মন্তব্য হয়তো আমরা মানুষ না, আমরা ভাবি নিরব দেশের নিরব অস্তিত্ব ধরে বেচে থাকার কান্নায় ভেসে চলি। আমরা রিয়াং বলেই কি আজ‌ও আদিবাসি সংরক্ষন দপ্তর থেকে সাহায্যের হাত‌টুকু বাড়িয়ে দেয়নি।


বাম সরকারকে গেল,রাম সরকার এল। কিন্তু রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একাংশ রিয়াং সম্প্রদায়ের জনজাতি মানুষজনদের দুঃখের দিন এখনো ঘুচায়নি।ইদানিং কালে রাজ্যে গজিয়ে উঠেছে একটি নব্য জনজাতি দরদি রাজনৈতিক দল। কিন্তু এখনো রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় একাংশ রিয়াং সম্প্রদায়ের দুঃখ-কষ্ট সীমাহীন। বর্তমানে ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের ক্ষমতায় বসে থাকা ঐ জনজাতি দরদি রাজনৈতিক দলটি আদৌ রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারি রিয়াং সম্প্রদায়ের জনজাতি অংশের মানুষজনদের দুঃখেভরা জীবন যাত্রার মান কতটা উন্নত করতে পেরেছে, তা নিয়ে কিন্তু নানাবিধ প্রশ্ন উঠছে ।


আবারো চিরবঞ্চিত দুঃখে ভরা একটি রিয়াং পরিবারের করুন চিত্র উঠে আসলো তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামি আর ডি ব্লকের অধীন নুনা ছড়া ভিলেজের হামপাইলা এলাকা থেকে। ঐ এলাকায় প্রায় ৩৫ টি রিয়াং সম্প্রদায়ের পরিবারের বসবাস । এর মধ্যে একটি হল হত দরিদ্র মকঞ্জয় রিয়াং এর পরিবার।তার পরিবারও নেহাত কম বড় নয়। কমপক্ষেও ১০ জনের পরিবার মকঞ্জয় রিয়াং এর। একমাত্র জুম চাষের উপর নির্ভর করে মকঞ্জয় তার পরিবার প্রতিপালন করছে । নেই তার একটি ভালো থাকার ঘর । মকঞ্জয় তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারকে নিয়ে ছন- বাশের তৈরি পুরোনো জীর্ণশীর্ণ একটি টং ঘরে বসবাস করছে। সেই টং ঘরটিও যে কোনো সময় তাদের উপরে ভেঙ্গে পড়তে পারে। বহুবার একটি সরকারি ঘরের আবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। একটি সরকারি ঘর‌ও জুটেনি তার ভাগ্যে। এত দারিদ্রতার মধ্যেও তার নেই BPL রেশন কার্ড‌ও। তাকে BPL রেশন কার্ড দেওয়ার জন্য সে একাধিকবার আবেদন করেছে। কিন্তু এটা থেকেও সে বঞ্চিত। সরকারের কাছে একটি বাগান দেওয়ার আবেদন করেছিল মকঞ্জয় যাতে সে সেটা দিয়ে উপার্জন করে সঠিক ভাবে পরিবার প্রতিপালন করতে পারে। কিন্তু একটি বাগান‌ও তাকে দেওয়া হয়নি। মকঞ্জয় রিয়াং -এর এই দুঃখ দুর্দশার কথা শোনার মত কেউই নেই । বহুবার মকঞ্জয় স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে জানিয়েও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে একপ্রকার নীরব ভূমিকায় রয়েছে আদিবাসী সংরক্ষণ দপ্তর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *