নয়াদিল্লি, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): দিল্লি ও দেহরাদূনের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে শনিবার দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও দেহরাদূনের প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মণ ঝুলা সেতু ও একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও। এদিন দেহরাদূনে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের প্রাক্কালে দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরের মডেল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডর।
প্রধানমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেছেন, “উত্তরাখণ্ড সমগ্র দেশের শুধু আস্থা নয়, কর্ম ও কঠোরতার ভূমিও এ জন্য এই অঞ্চলের বিকাশ ডবল ইঞ্জিন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে প্রতীক্ষিত সেই দিন এল। কেদারপুরীর পবিত্র ভূমি থেকে আমি বলেছিলাম এবং আজ দেহরাদূন থেকে পুনরাবৃত্তি করছি, এই প্রকল্পগুলি এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশকে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই শতাব্দীর শুরুতে অটলজি ভারতে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে অভিযানের সূচনা করেছিলেন। তারপর ১০ বছর ধরে দেশে এমন একটি সরকার ছিল, যে সরকার উত্তরাখণ্ড ও দেশের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে। ১০ বছর ধরে দেশে ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারের নাম শুধু দুর্নীতি হয়েছে, এর ফলে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে আমরা দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছি এবং বর্তমানেও করছি।”
শনিবার দেহরাদূনে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরও। এই করিডর দূরত্ব কমাবে দিল্লি ও দেহরাদূনের মধ্যে। ৮,৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হবে দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর। দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হয়ে গেলে দিল্লি ও দেহরাদূনের মধ্যে ভ্রমণের সময় অনেকটাই কমবে। এখন দিল্লি থেকে দেহরাদূনে যেতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা, দিল্লি-দেহরাদূন অর্থনৈতিক করিডর চালু হয়ে গেলে ৬ ঘন্টার পরিবর্তে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘন্টা। এই করিডরে হরিদ্বার, মুজফ্ফরনগর, শামলি, যমুনানগর, বাঘপত, মেরঠ এবং বারাউতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ৭টি প্রধান ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।
এই করিডর তৈরি হলে দুই শহরের পর্যটকরা সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন। মূলত ওই রুটে দিল্লি থেকে দেহরাদূনের মধ্যে যে অভয়ারণ্যগুলি রয়েছে, সেখানে সফর করতে পারবেন পর্যটকরা। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ রক্ষারও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এক্সপ্রেসওয়েতে যাতে কোনও পশু গাড়ি দুর্ঘটনায় না পড়ে,
সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মূল এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটনস্থল যুক্ত করার জন্য রাস্তা তৈরি হবে।