নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ আগস্ট।। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কোভিড বিধি মেনে আজ থেকে ত্রিপুরায় মহাবিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। শুরুর দিনেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। আপাতত, বিদ্যালয়গুলিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। করোনার প্রকোপে দেড় বছর ধরে প্রায় বাড়িতেই কেটেছে পড়ুয়াদের জীবন। আজ তাদের দেখে মনে হচ্ছিল, এতদিনে প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারছে।
সম্প্রতি ত্রিপুরায় করোনার দাপট অনেকটাই কমেছে। দৈনিক সংক্রমণের হার কমেছে সাথে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। তাই, ত্রিপুরা সরকার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের চিন্তায় মহাবিদ্যালয় ও বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন শুরু করে দিয়েছে। তবে, অবশ্যই মানতে হবে কোভিড বিধি। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ স্যানিটাইজ করা হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়েছে নিয়ম মেনে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আজ মন খুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন।
বিদ্যালয়ে ফেরত জনৈক ছাত্রের কথায়, বাড়িতে থেকে হাপিয়ে উঠেছিলাম। আজ বন্ধুদের কাছে পেয়ে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। তার মতে অনলাইনে তেমন মজা নেই। নেহাত বাধ্য হয়ে পড়াশুনা করতে হয়েছে। জনৈক শিক্ষিকার দাবি, প্রায়ই অনলাইনে পড়াশুনা শুরু করার পর ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। ফলে, সঠিকভাবে মনোনিবেশে ব্যাঘাত ঘটেছে। তাঁর বক্তব্য, প্রত্যন্ত এলাকায় অনলাইনে পঠন-পাঠনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিদিন ইন্টারনেটের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাছাড়া, অনেক গরীব ছেলে-মেয়েদের কাছে স্মার্টফোন না থাকায় তারা সেই সুযোগ নিতে পারেনি। তবে, এখন পুণরায় বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।
আজ সারা রাজ্যেই মহাবিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। একাংশ অভিভাবক কিছুটা ভয়ে আছেন। কিন্ত, করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী এই মুহুর্তে বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, কোভিড বিধি সঠিকভাবে পালন করা হলে কোন ধরনের অঘটন ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে শিক্ষা দফতর। এক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।