নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট (হি.স.) : পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল কংগ্রেসে। কিন্তু দলের হাইকম্যান্ড বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, পঞ্জাবে আগামীবছর বিধানসভা ভোটে তাঁরই নেতৃত্বে কাজ করবেন কংগ্রেসকর্মীরা। হাইকম্যান্ডের তরফে পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াত এদিন বলেন, ‘ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং-এর নেতৃত্বে ২০২২ সালের ভোটে লড়াই করবে কংগ্রেস।’ কিছুদিন আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত্ সিং সিধু পাকিস্তান ও কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেজন্য সিধুর সমালোচনা করেন অমরিন্দর সিং। এরপরেই দলের মধ্যে ফের দাবি ওঠে, ক্যাপটেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে হবে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের চার মন্ত্রী সহ ২৩ জন বিধায়ক বৈঠক করে অমরিন্দরকে অপসারণের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, লিখিতভাবে ওই দাবির কথা হাইকম্যান্ডকে জানাবেন। পঞ্জাবের মন্ত্রী ত্রিপ্ত রাজিন্দর সিং বাজওয়া বলেন, ‘ক্যাপটেনকে সরাতে না পারলে পঞ্জাবে কংগ্রেস বাঁচবে না।’
বুধবার বাজওয়া এবং অপর তিন মন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সারকারিয়া, সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া ও চিরঞ্জিত্ সিং চান্নি দেরাদুনে দেখা করেন হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে। এরপরে তাঁরা সম্ভবত দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এর আগে কয়েকমাস ধরে অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে সিধুর বিরোধ চলছিল। পরিণামে দু’টি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছিল পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস। শেষে হাইকম্যান্ড সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তখনই রাজ্যের ১০ কংগ্রেস বিধায়ক সিধুকে বলেন, কেউ যেন ক্যাপটেনের অসম্মান না করেন। কেননা আজও তিনি রাজ্যবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় নেতা। তাঁদের বক্তব্য, ক্যাপটেন অমরিন্দর সিংয়ের জন্য পঞ্জাবে দল এত ভাল জায়গায় আছে। তাঁকে হতাশ করবেন না। তাতে দলেরই ক্ষতি হবে।