নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট।। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুত্সা ও ষড়যন্ত্র করার প্রতিবাদে আজ শহর কাঁপিয়ে মিছিল করল বিজেপি যুব ও মহিলা মোর্চা। মিছিল থেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দিলেন নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে পথসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থার বর্ণনা দেন তাঁরা। বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না কেন। তাঁর হুশিয়ারী, ত্রিপুরায় শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা হলে জনগণ জবাব দেবেন।
ত্রিপুরায় সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ঘন ঘন সফরে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল এখন ত্রিপুরা নিয়ে ভীষণ আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত কয়েকদিনে একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী এবং সংসদের পাশাপাশি দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা সফর করেছেন। এদিকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূলের সমর্থকদের ধরপাকড় চলছে ত্রিপুরায়। শুধু তাই নয়, থানায় ঢুকে সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা নিয়েছে। হটাত বিরোধী রাজনীতির পরিস্থিতি অন্য ধারায় বইতে শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে উদ্দেশ্য করে কুত্সা এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিজেপি যুব ও মহিলা মোর্চা বিশাল মিছিলের আয়োজন করল। রাজধানী আগরতলা শহরে ইদানিংকালে সবচেয়ে বড় মিছিল ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, কোভিড বিধি মেনে সমস্ত মিছিল, সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নির্বাচনের দামামা না বাজলেও, আজকের মিছিল থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিজেপি যুব ও মহিলা মোর্চার নেতৃবৃন্দ। লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপি এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না, তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এদিকে, আজ প্যারাডাইস চৌমুহনীতে পথসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকেই নিশানা করেছে বিজেপি নেতৃবৃন্দ। এদিন প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শাসনে মানুষের অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই বলে যাঁরা চিত্কার করছেন, তাঁদের আয়নায় নিজেদের চেহেরা দেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ধর্ষণের শিকার ৩৪ জন মহিলাকে অনেক সাহস একত্রিত করে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ এনে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সুরক্ষিত নন। নির্যাতনের শিকার মহিলাদের অভিযোগ থানা নিতে চায় না। তিনি এদিন ত্রিপুরাবাসীকে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে পদদলিত করে তৃণমূলের নজর এখন ত্রিপুরায় পড়েছে। আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।