BRAKING NEWS

Dissatisfaction with the role : বন দপ্তরের ভুমিকায় জনমনে অসন্তোষ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগস্ট।। বন সৃজনের লক্ষ্যে রাস্তার দুপাশে গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। ছোট চারা গাছ গুলিকে রক্ষার জন্য যে জোংরা লাগানো হয়েছিল সেগুলো এখনও কেটে ফেলা হয়নি। ফলে গাছগুলো সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। অবিলম্বে জোংরা গুলি খুলে ফেলার জন্য দাবি উঠেছে। সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত লোহার জোংরা গুলি গাছ বড় হওয়ার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়ছে। আগরতলা সিমনা প্রধান রাস্তায় খোয়াই চৌমুহনী সংলগ্ন স্থান, তারাপুর চৌমুনী থেকে বিজয়নগর ভায়া নরেন্দ্রপুর চা বাগান ও সিধাই বিওপি ক্যাম্প থেকে নতুন বাইপাস রোডের মধ্যে লাগানো হয়েছিল রোড স্যাড গাছ।২০১৭ ইং সালে এই গাছগুলি লাগানো হয়েছিল এম জি এন রেগা এর মাধ্যমে।গবাদী পশু যাতে গাছগুলিকে নষ্ট না করে তার জন্য প্রোটাকশান হিসাবে দেওয়া হয় লোহার জোংরা।

সেই সময়ে বনদপ্তরের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা সঠিক ছিল।পরিবেশের স্বাভাবিক নিয়মে গাছগুলি বড় হতে থাকে।বর্তমানে অনেকগুলি গাছ সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না,কারণ সঠিক সময়ে এই জোংরা গুলি না কাটায়। কোথাও কোথাও জোংড়া গুলি গাছের কান্ডের মধ্যে ঢুকে গেছে। কোথাও কোথাও জোংরা ছিঁড়ে গাছগুলি বেড়িয়ে গেছে। বনদপ্তর যদি সঠিক সময়ে জোংড়া গুলি কেটে দিত তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না। যে উদ্দেশ্যে গাছগুলি রোপন করা হয়েছিল আদৌ সেই উদ্দেশ্য সফল হবে কিনা এটা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে এই লৌহার জোংরা,যেগুলি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে সেই গাছগুলি আগামী দিনে ঝরো হাওয়ায় ভেঙ্গে পরার সম্ভাবনা রয়েছে.।জোংরা গুলিকে অতিসত্বর কাটার উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।খোয়াই চৌমুহনী সংলগ্ন স্থানের গাছগুলি ন্যাশানাল হাইওয়ে রোড নির্মাণ সাপেক্ষে কেটে ফেলা হয়েছে এই কয়েকদিনে।তবে বিজয়নগর এবং সিধাই বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন বাইপাস রোডে অনেকগুলি গাছ এই লৌহার জোংড়ার কারণে বেড়ে উঠতে পারছে না।

এই বিষয়ে মোহনপুর মহকুমার ফরেস্ট রেঞ্জার সুব্রত পালের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন।মোহনপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় রোডসাইড ট্রি গুলির মধ্যে লোহার জোংরা রয়েছে।তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং এই জোংরা গুলি কাটার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করে কাটার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।বিভিন্ন এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন যুবক এবং বুদ্ধিজীবীরা এই জোংরা গুলি কাটার জন্য দাবি করেছেন।তারা অভিমত ব্যাক্ত করে বলেন দপ্তরের আধিকারিকরা ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই এই গাছগুলিকে লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।দপ্তরের আধিকারিকদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নও হয়েছে। কিন্তু একশো শতাংশ সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই এই জোংরা গুলিকে কেটে সরিয়ে নিয়ে গাছগুলির স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *